ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতরের পর চারমাসে সারাদেশে ৬৯টি মন্দিরে ‘হামলা–ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের’ ঘটনা ঘটেছে বলে সনাতনী জাগরণ জোটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের পক্ষ থেকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
জোটের অন্যতম সংগঠক গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী বলেন, গত ৫ আগস্ট থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে হিন্দুদের মন্দিরে হামলার ঘটনার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৪৯টি জেলায় ৫১টি কেস স্টাডি করে আমরা ৬৯টি মন্দিরে ভাঙচুর, দখল ও চুরির বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। খবর বিডিনিউজের।
সনাতনী জোট বলছে, সরকার ও কয়েকটি রাজনৈতিক দল হিন্দুদের ওপর ৫ আগস্ট পরবর্তী যেসব হামলা চালানো হয় তা আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত বলে রাজনৈতিক কারণে হয়েছে বলে সেসবের বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে, কারণ ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে হামলা মানেই সামপ্রদায়িক মনোভাব নিয়ে করা হয়েছে।
গণামধ্যমে প্রকাশিত না হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় ‘আরও অর্ধশতাধিক মন্দির ভাঙচুর ও দখলের ঘটনার’ তথ্য পেয়েও তা এই প্রতিবেদনে আনা হয়নি বলে জোটের ভাষ্য। জোট আরও দুটি প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য কাজ করছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এর মধ্যে একটি হল–রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়–এমন হিন্দুদের বাড়িঘরে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা এবং অন্যটি ‘কথিত ধর্ম অবমাননার নামে’ গ্রেপ্তার হিন্দুদের বিষয়ে।