হাটহাজারীতে চার বছর আগে প্রতিবেশী ইউসুফকে হত্যার ঘটনায় পলাতক দুই সহোদরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত রোববার রাতে ও গতকাল নগরের বাকলিয়ার কল্পলোক আবাসিক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কামরুল হাসান ও রফিকুল হাসান। তারা হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শার মৃত আবদুল হামিদের পুত্র। র্যাব জানায়, নিহত ইউসুফের সঙ্গে তার প্রতিবেশী কামরুল হাসানের আগে থেকে জায়গা–জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ সকালে ওই বিরোধের জের ধরে ভিকটিমকে হাটহাজারী থানাধীন মাছুয়াঘোনা এলাকায় পূর্বপরিল্পিতভাবে আসামি কামরুল, তার ভাই রফিকুল এবং কতিপয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ সময় আসামি কামরুল ছোরা দিয়ে ভিকটিমের দুই হাতের কব্জি এবং দুই পায়ের গোড়ালির রগ কেটে দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ভিকটিমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠালে সেখানে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪জনকে আসামি করে হাটহাজারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। র্যাবের সিনিয়র পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, মামলার পর থেকে আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে গোপন সূত্রে জানতে পেরে গত রোববার নগরের বাকলিয়া থানাধীন কল্পলোক আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্যমতে সোমবার নগরের বাকলিয়া থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরেক আসামি রফিকুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুইজনই ইউসুফ হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।