চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের মেয়াদ শেষ হতে আরও দুই মাস বাকি। নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে নির্বাচন শেষ করতে হয় নির্বাচন কমিশনকে। কিন্তু এক সংরক্ষিত কাউন্সিলরসহ চার কাউন্সিলর প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় তৈরি হয়েছে জটিলতা।
মারা যাওয়া ওই চার প্রার্থীর এলাকায় কাউন্সিলর নির্বাচন হবে কিনা কিংবা পুনরায় নতুন করে তফসিল ঘোষণা করা নিয়ে রয়েছে জল্পনা-কল্পনা। তবে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বলছেন, চসিক নির্বাচন নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার পর গত কয়েক মাসে চার প্রার্থী মারা গেছেন। তারা হলেন সংরক্ষিত ওয়ার্ড (১৭, ১৮ ও ১৯) কাউন্সিলর প্রার্থী সাহিদা বেগম পারভীন, ৩০ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হোসেন মুরাদ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, নির্বাচন ডিসেম্বরের শেষে হোক অথবা জানুয়ারিতে হোক, আমরা প্রস্তুত রয়েছি। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা পেলে কার্যক্রম শুরু করতে পারব। মৃত্যুবরণ করা প্রার্থীর এলাকায় কাউন্সিলর পদে নির্বাচন একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে, নাকি পরবর্তীতে নতুন তফসিল ঘোষণা করা হবে-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন আইন-২০০৯ (সংশোধিত) আইনের বিধি ২০-এর উপবিধি-১ ধারায় বলা হয়েছে, ভোট গ্রহণের পূর্বে কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসার গণবিজ্ঞপ্তি দ্বারা বাতিল করবেন। এছাড়া একই বিধির উপবিধি-৩-এ বলা হয়েছে, রিটার্নিং অফিসার হতে অবহিত হওয়ার পর নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে কোনো প্রার্থীর মনোনয়ন ইতোপূর্বে বৈধ বলে গণ্য হলে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না।
এর আগে ৫ আগস্ট চসিকের মেয়াদ শেষ হলে ১৮০ দিনের জন্য প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় খোরশেদ আলম সুজনকে; যার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি। স্থানীয় সরকার নির্বাচন (সিটি কর্পোরেশন) আইনের ২৫ ধারা (অবস্থা বিশেষে প্রশাসক নিয়োগ) অনুযায়ী এ নিয়োগ দেওয়া হয়। স্থগিত হওয়া চসিক নির্বাাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। এছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ৫৫ পদে ২৬৯ প্রার্থী মনোনয়ন পান।