চার জেলায় আজ ও কাল বন্ধ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

চট্টগ্রাম কক্সবাজার খাগড়াছড়ি বান্দরবান ।। চট্টগ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ

| বুধবার , ৯ আগস্ট, ২০২৩ at ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ

টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল আর জলাবদ্ধতায় পর্যুদস্ত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুধ ও বৃহস্পতিবার বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক সভার পর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রায় বন্যাসদৃশ পরিস্থিতি কারণে ওই এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। তবে রাঙামাটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।

এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সিদ্ধান্তের পর গতকাল চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালককে চিঠি পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।

অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে মঙ্গলবারও চট্টগ্রাম মহানগরীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। পাঁচ দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি নদীগুলোর পানি বেড়ে এবং খালজলাশয় উপচে চট্টগ্রামের ১৩টি উপজেলার প্রায় ৬ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরীর বাসিন্দাদেরও।

ঢলের কারণে বান্দরবান শহরের অনেক এলাকাই এখন জলমগ্ন। কিছু কিছু জায়গায় পাহাড় ধসের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জেলার বেশির ভাগ এলাকা বিদ্যুৎহীন থাকায় এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। কক্সবাজার জেলার সাতটি উপজেলার কমপক্ষে ৪৫টি ইউনিয়নের সাড়ে চার লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। চট্টগ্রামকক্সবাজার সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।

টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে মাইনী নদীর পানি বেড়ে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির নিচু এলাকাও প্লাবিত হয়েছে। দীঘিনালা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে এক হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে দুর্গতদের সহায়তায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ : অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ও ভূমিধসের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সিদ্ধান্তের পর মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালককে চিঠি পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

চিঠিতে বলা হয়, মৌসুমি আবহাওয়ার প্রভাব ও অতিবৃষ্টির কারণে যেসব বিদ্যালয়সমূহে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে এবং সম্ভাব্য ভূমিধসে বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সেসব বিদ্যালয়সমূহের শ্রেণি কার্যক্রম পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে গত সোমবার থেকে চট্টগ্রামসহ বন্যাকবলিত জেলার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়। পরে বন্যার বিস্তার বাড়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমেয়র ও সিডিএ চেয়ারম্যানের পদত্যাগ করা উচিত
পরবর্তী নিবন্ধসরকারি ব্যাংকে সহজ সরল লোককে টার্গেট করে ওরা