চট্টগ্রাম বন্দরের স্টোর রেন্ট চারগুণ হারে আদায় আরো একমাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের অনুরোধে এবং বন্দর ইয়ার্ডে কন্টেনার ও জাহাজের চাপ কমে আসায় কন্টেনারের স্টোর রেন্টের চার গুণ হারে মাশুল আদায় এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উচ্চ পর্যায়ের এক সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেনারের জট কিছুটা কমে আসায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও সূত্র জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহন বিভাগের পরিচালকের দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত এফসিএল কন্টেনারের স্বাভাবিক স্টোররেন্টের উপর (খালি কন্টেনার ব্যতীত) চলমান ৪ (চার) গুণ হারে স্টোররেন্ট আদায়ের স্থগিতাদেশ এর মেয়াদ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বন্দর সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর অভ্যন্তরে আমদানিকৃত এফসিএল কন্টেনারের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে পরিবহন বিভাগের পরিচালকের দপ্তর থেকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বন্দরের প্রচলিত আইনে গত ১০ মার্চ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর ও ঢাকাস্থ কমলাপুর আইসিডিতে (পানগাঁও আইসিটি ব্যতীত) স্থিত আমদানিকৃত এফসিএল কন্টেনারের স্বাভাবিক ভাড়ার উপর ৪গুণ হারে স্টোররেন্ট আরোপ করা হয়। যা পরবর্তীতে চবক বোর্ড সভায় গত ১৯ আগস্ট থেকে ১ মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। কিন্তু বন্দর ব্যবহারকারীদের আবেদন এবং বন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেনার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নীত হওয়ায় বোর্ড আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কন্টেনার স্টোর রেন্ট চারগুণ হারে আদায়ের কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করায় কন্টেনার জট পরিস্থিতির কিছুটা উন্নীত হয়েছে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তারা বন্দর ব্যবহারকারীদের প্রতি নিরবচ্ছিন্ন সেবা ও বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম গতিশীল রাখার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সকল আমদানিকারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্দরের ইয়ার্ড থেকে এফসিএল কন্টেনার খালাসের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, বন্দর ব্যবহারকারীদের স্বাভাবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে বন্দরের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।
এর আগে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতিসহ (বিজিএমইএ) চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন কন্টেনার রেন্টের চারগুণ মাশুল স্থগিত করার অনুরোধ জানায়। অনেকে এ নিয়ে বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন। এতে বন্দর কর্তৃপক্ষ এফসিএল কন্টেনারের ক্ষেত্রে চারগুণ রেন্ট নেওয়ার আগের আদেশটি দ্বিতীয় দফায় এক মাসের জন্য স্থগিত করে বলেও সূত্র জানিয়েছে।