কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে এখন ৪টি সচল রয়েছে। এই ৪টি ইউনিট থেকে বর্তমানে ১৬৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হচ্ছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেদুই নম্বর ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে। এটি পুনরায় চালু করতে কাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের গতকাল (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আজাদীকে বলেন, কাপ্তাই লেকে বর্তমানে ১০৮.৬০ মীন সি লেভেল পানি রয়েছে। রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী এখন লেকে পানি থাকার কথা ১০৯ ফুট মীন সি লেভেল। প্রতিদিনই পানির লেভেল কমছে। নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে পানির লেভেল কমতে থাকে। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ নম্বর ইউনিটটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ত্রুটি সারাতে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা কাজ করে যাচ্ছেন। দুই নম্বর ইউনিট সচল হলে কাপ্তাই থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, এ বছর বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় কাপ্তাই লেক পানিতে পরিপূর্ণ ছিল। পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ রক্ষার স্বার্থে কয়েক দফায় স্পিলের ১৬টি গেইট খুলে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। লেকে পানি পরিপূর্ণ থাকার সময়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটও পুরোদমে সচল ছিল। তখন দৈনিক ২৪০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়েছিল। সাধারণত নভেম্বর মাস থেকে বৃষ্টিপাত হয় না। সে কারণে এই সময় থেকে লেকের পানি হ্রাস পেতে থাকে। আর পানি স্বল্পতার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন যাতে একেবারে বন্ধ না হয় সে জন্য কর্তৃপক্ষ সীমিত সংখ্যক ইউনিট চালু রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল রাখে।