নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ এলাকায় পারভিন আক্তার নামের এক নারীকে শ্বাসরোধ করে খুনের ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় মৃত্যুদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত একজন আদালতে হাজির ছিলেন। বাকি তিনজন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এখনো পলাতক।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি নোমান চৌধুরী আজাদীকে বলেন, দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারা অনুযায়ী হত্যার দায়ে চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দস্যুতার দায়ে তাদের চারজনকে দণ্ডবিধির অপর একটি ধারায় (৩৯৪/৩৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় আদালত ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন, ফটিকছড়ি উপজেলার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. ইয়াছিন (২৭) (আদালতে উপস্থিত ছিলেন), হাটহাজারী উপজেলার মো. মুসার ছেলে মনসুর (২৫) ও মো. ইউসুফের ছেলে আবু তৈয়ব প্রকাশ রানা (২৪) ও মো. আহমদ ছফার ছেলে মো. ইছহাক (২৬)। এদের মধ্যে মো. ইয়াছিনকে রায় ঘোষণা পরবর্তী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ মার্চ বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদের বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির একটি ভবনের তিন তলার বাসায় পারভিন আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ডাকাতি করতেই সেদিন মূলত পারভিন আক্তারের বাসায় ঢুকেছিলেন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা। একপর্যায়ে চিৎকার করতে চাইলে আসামিরা পারভিন আক্তারের গলা চেপে ধরেন। এতেই তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে আসামিরা প্রায় তিন ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৭ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। এ ঘটনায় পারভিন আক্তারের স্বামী নুরুল আলম বাদী হয়ে খুন ও দস্যুতার অভিযোগ এনে বায়েজিদ থানায় একটি মামলা করেন।
আদালত সূত্র জানায়, পারভিন খুনের এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৩ জুন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। পরের বছর ২০১৭ সালের ৫ মার্চ চারজনের বিরুদ্ধেই আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।