চার্জশিট নিয়ে যা বললেন মিতুর বাবা

| বুধবার , ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ

নিজের মামলাটি অকার্যকর হলেও মেয়ে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডে জামাতা বাবুল আক্তারকে আসামি করে পিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটে সন্তোষ জানিয়েছেন মোশাররফ হোসেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গতকাল আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে বাবুলের করা প্রথম মামলাতেই চার্জশিট দেয়। এতে বাবুলসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের সবাই মোশাররফের করা পরের মামলাটিতেও আসামি ছিলেন।
তবে মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ। সাবেক এসপি বাবুলের ‘সহযোগীরা’ এই মামলার ‘দুর্বল’ সাক্ষীদের ক্ষতিসাধন করতে পারে বলে তার আশঙ্কা। খবর বিডিনিউজের।
অভিযোগপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে মোশাররফ বলেন, আমার মেয়েকে খুন করার ছয় বছরের বেশি সময় পর আজকে যে অভিযোগপত্র দেওয়া হলো, এজন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞ। শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আসলে বাবুল আক্তার কত নৃশংস, তা তার ইতিহাস দেখলে জানতে পারবেন। তার লোকজন আছে। তারা সবাই সক্রিয়। দেশে-বিদেশে অনেকেই আছে। ইতিমধ্যে তার পক্ষে ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণাও তারা চালাচ্ছে। তাই আমরা হুমকি অনুভব করছি। আমাদের পরিবারের যে কারও ক্ষতিসাধন তারা করতে পারে। এ মামলার সাক্ষীদের মধ্যে কেউ কেউ দুর্বল অবস্থানে আছেন। তাদেরও ভীতি প্রদর্শন করতে পারে, যাতে তারা আদালতে সাক্ষী দিতে না যায় বা যথাযথ সাক্ষ্য না দেয়। তাই এখন পর্যন্ত পিবিআইয়ের সুপারভাইজরি অফিসাররা যেভাবে কাজ করেছেন। বিচার কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা যেন এ রকম সক্রিয় থাকেন, এটা আমার আবেদন।
পিবিআইয়ের তদন্তে পরকীয়ার বিষয়টি উঠে আসায় সন্তোষ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) থেকে শুরু করে শেষ আইও পর্যন্ত সবাইকে আমরা বিষয়গুলো বলেছি। বাবুল মিশনে যাওয়ার সময় তার যে মোবাইল ফোনটি বাসায় রেখে যায়, সেটাতেই গায়ত্রী অমর সিং নামের ওই মহিলা এসএমএস পাঠাতে থাকে। মোবাইলটি বাসায় থাকায় মিতু সেগুলো পায়। ওই নারী মিতুর নম্বরে ফোন করেও অনেক আপত্তিকর কথা বলেছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
পরবর্তী নিবন্ধসর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে তদন্ত হয়েছে : পিবিআই