চারুকলায় এবার হচ্ছে না মঙ্গল শোভাযাত্রা

বর্ষবরণ বর্ণহীন রাখবে না শিক্ষার্থীরা, চলছে প্রস্তুতি

চবি প্রতিনিধি | রবিবার , ৯ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ

চারুকলা ইনস্টিটিউট বন্ধ থাকায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা এবার হচ্ছে না। চারুকলার শিক্ষার্থীদের অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে নিজেদের রঙিন চারুকলাকে বর্ষবরণে বর্ণহীন রাখবে না শিক্ষার্থীরা। নিজেদের পকেট মানি দিয়ে বাংলা বর্ষকে যথাসম্ভব বরণ করে নেবে। তবে সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যে রং তুলির আঁচড় লেগেছে চারুকলা প্রাঙ্গণে। ইনস্টিটিউটের সামনের কিছুটা অংশে রং তুলি হাতে আলপনা তৈরি করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে এতে গতবারের মতো আমেজ নেই। এক বছর আগের এই সময়টাতে কালিকলমতুলি হাতে ব্যস্ত সময় পার করত চারুকলার শিক্ষার্থীরা। ছাত্রশিক্ষকের পদচারণায় মুখর থাকত চারুকলা। মনের মাধুরি মিশিয়ে সাজিয়ে তুলত চারুকলাকে। কিন্তু এবারের দৃশ্যপট পুরো ভিন্ন।

চারুকলা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, বাংলা বর্ষবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রা করার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। আমাদের হাত খরচ দিয়ে আমরা বর্ষবরণের চেষ্টা করব। আমরা চারুকলার সামনের কিছুটা অংশ রাঙিয়ে তুলেছি। বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। কারণ আমাদের কোনো অ্যালামনাই নেই। ফলে, অর্থ সংকুলান যতটুকু হয় তা দিয়েই আমরা নতুন বছরকে বরণ করব।

চারুকলায় বর্ষবরণ না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ষবরণ করা হবে। বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা, গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা। এমনটাই জানিয়েছেন চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার।

তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে প্রশাসন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। তবে, চারুকলা বন্ধ থাকায় সেখানে কোনো অনুষ্ঠান হবে না। চারুকলায় বর্ষবরণের বিষয়ে তিনি বলেন, চারুকলার চারজন শিক্ষার্থী আমার কাছে এসেছিল। তারা মঙ্গল শোভাযাত্রা করতে চায়। আমি তাদের বলেছিলাম, তোমরা তোমাদের ডিরেক্টরের মাধ্যমে আসো। এটার একটা প্রসিডিউর আছে, তাই প্রপার অথরিটির মাধ্যমে আসতে হয়। কিন্তু এরপর তারা কেউ আর আসেনি। আর যারা এসেছিল তারা সবাই পাস করা ছাত্র। অর্থাৎ রানিং কোনো স্টুডেন্ট আসেনি আমার কাছে।

জানা যায়, ২৩ জানুয়ারি থেকে আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফিরতে রাজি হলেও অ্যাকাডেমিক ভবনের বাইরে খোলা প্রাঙ্গণে ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা। এরপর ৩১ জানুয়ারি থেকে পুনরায় শিক্ষার্থীরা মূল ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে নগরীর বাদশা মিয়া সড়কে চারুকলার মূল ফটকে তালা দিয়ে ক্লাস বর্জন ও আন্দোলন শুরু করে। এর মধ্যে ২ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় ইনস্টিটিউট এক মাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। পরে তা আরো দুই দফা বাড়ে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসার্ভার জটিলতায় ভোগান্তি
পরবর্তী নিবন্ধঈদযাত্রার প্রতিটি ট্রেনে যুক্ত হবে অতিরিক্ত বগি