চারদিন পর স্বল্প পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম

নগরীর সব শাখায় ছিল গ্রাহকের উপচে পড়া ভিড়

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৫ জুলাই, ২০২৪ at ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

কোটা আন্দোলন ইস্যুতে টানা চারদিন বন্ধ থাকার পর গতকাল বুধবার ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের ব্যাংকগুলোতে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। বিভিন্ন ব্যাংকের সবগুলো শাখা খোলা না থাকায় হাজার হাজার মানুষ দূর দূরান্ত থেকে এসে খোলা থাকা শাখাগুলোতে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

গতকাল আগ্রাবাদের ব্যাংক পাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ টাকা তুলছিলেন, জমাও দিচ্ছিলেন কেউ কেউ। এক একটি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা গ্রাহকদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তবে আজ অধিকাংশ ব্যাংকেরই সবগুলো শাখা খুলে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে গ্রাহকদের চাপ স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

গতকাল সকালে আগ্রাবাদ সোনালী ব্যাংকে মানুষে গিজগিজ করতে দেখা গেছে। প্রচুর লোক টাকা উত্তোলনসহ নানা ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম সারছিলেন। উত্তরা ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখায় গিয়ে বেহাল অবস্থা দেখা যায়। টাকা উত্তোলন, জমা দেয়া, দেশের বিভিন্ন স্থানে টাকা পাঠানোসহ নানা ধরনের কাজে মানুষকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। ব্যাংকের ৩১টি শাখার কার্যক্রম শুধুমাত্র একটি শাখায় করা হচ্ছে বলেও জানান একজন কর্মকর্তা। এতে করে কাজের চাপ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় গ্রাহকদের বেগ পেতে হচ্ছে বলেও ওই কর্মকর্তা জানান।

চট্টগ্রামের মার্কেন্টাইল ব্যাংকেও প্রচুর গ্রাহকের চাপ পরিলক্ষিত হয়েছে। শেখ মুজিব রোড শাখায় বিপুল সংখ্যক গ্রাহককে লাইন ধরে লেনদেন করতে দেখা গেছে। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ১৬টি শাখার মধ্যে গতকাল ৯টি চালু ছিল। আজ ব্যাংকের ১৩টি শাখা চালু থাকবে বলেও একজন কর্মকর্তা জানান। ইস্টার্ণ ব্যাংকের ২৫টি শাখার মধ্যে ১৬টি চালু ছিল। আজ সবগুলো শাখায় লেনদেন চলবে বলেও সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমালিকদের কাছ থেকে ডেমারেজ ও ব্যাংক ইন্টারেস্ট না নেয়ার আহ্বান
পরবর্তী নিবন্ধচমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৬ জন