চারদিন পর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর এবং কর্ণফুলী ঘাটে জাহাজ থেকে পণ্য হ্যান্ডলিং শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার ২৮টি লাইটারেজ জাহাজ বহির্নোঙরে পণ্য খালাস করতে যায়। শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি, বৈরী আবহাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চারদিন কোন কাজই হয়নি। গতকাল সকাল থেকে বৃষ্টি ধরে আসার পর কর্ণফুলী নদীর ঘাটগুলোতেও পণ্য খালাস শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, খোরাকি ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে নৌযান শ্রমিকেরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয়। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের আলাপ আলোচনাসহ বিভিন্নমুখী তৎপরতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিলেও সাগর উত্তাল হয়ে উঠায় কাজ শুরু করা যায়নি। ৩-৪ নম্বর সতর্ক সংকেতের কারণে শুক্রবারও কোন কাজ হয়নি। অবশেষে গতকাল সকাল থেকে কাজ শুরু হয় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর এবং কর্ণফুলী নদীর ১৬টি ঘাটে।
অপরদিকে বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ গম, সার, ডাল, চিনি, সাদা মটর, পাথর, কয়লা, স্ল্যাগ, বল ক্লে, লাইম স্টোন, জিপসাম, সিমেন্ট ক্লিংকার ইত্যাদি খোলাপণ্য নিয়ে আসা অন্তত ৪০টি মাদার ভ্যাসেল অলস বসেছিল। সেগুলোতেও কাজ শুরু হয়েছে। লাইটারেজ জাহাজের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের প্রধান নির্বাহী মাহবুব রশিদ গতকাল দৈনিক আজাদীকে বহির্নোঙরে কাজ শুরু হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বহির্নোঙরে গতকাল ২৮টি লাইটারেজ জাহাজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।