চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের দক্ষিণ চাম্বল সোনারখিল এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরদিকে পুঁইছড়ি ইউনিয়নের জঙ্গল পুঁইছড়ি এলাকায় ইজারা বহির্ভূত ছড়া থেকে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের দায়ে মোবাইল কোর্টের অভিযানের মাধ্যমে বালুসহ দুটি ট্রাক আটক করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের দক্ষিণ চাম্বল সোনারখিল এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগের প্রেক্ষিত গতকাল বুধবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি উচু টিলাকে নিজেদের জায়গা বলে চাম্বলের দক্ষিণ চাম্বল সোনার খিলের কালাম, পারভেজ, ট্রাক ড্রাইভার মানিক, আবুল বশরসহ বেশ কয়েকজন ড্রেজার গাড়ি দিয়ে মাটি কেটে তা চাম্বলের চেয়ারম্যান ঘাটা নামক স্থানে এনে জমায়েত করে। পরে সেখান থেকে প্রতি ট্রাক ১০০০/১৫০০ টাকা হিসেবে বিক্রি করছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু এলাকার মাটি কেটে সমান করা হয়েছে। সে ব্যাপারে আশে পাশের কেউ যাতে মুখ না খুলে তার জন্য শাসিয়ে দেওয়ার প্রেক্ষিতে কেউ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে নারাজ। গতকাল মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ওমর ফারুক। এ অভিযান অভ্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
মাটি বিক্রির ব্যাপারে জানতে চাইলে চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, আমি বর্তমানে শহরে রয়েছি এবং দক্ষিণ চাম্বল সোনারখিল এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি কাটার ব্যাপারে আমি অবগত নয়।
বনবিভাগের জলদী অভয়ারন্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, এ ব্যাপারে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। কারো ব্যক্তিগত জায়গা হলেও এভাবে কাটতে পারবে না। আমি খবর নিয়ে বিস্তারিত অবগত হচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে কেউ আমাকে অবহিত করেনি। খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য বাঁশখালীর নাপোড়ায় জেলা প্রশাসন কর্তৃক ইজারা প্রদত্ত একটি মাত্র বালুমহল থাকলেও বাঁশখালীর বিভিন্ন স্থানে ১৫/২০টি স্পর্টে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। যাতে উপজেলা প্রশাসন অভিযান ও জরিমানা আদায় করলে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও পরে আবার পুনরায় চালু হয়।