চাপ সামলাতে গাড়ির ইয়ার্ডে পণ্য হ্যান্ডলিং

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৫০ পূর্বাহ্ণ

কন্টেনারে পণ্য আমদানির চাপ সামলাতে গাড়ির ইয়ার্ডে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের কার্যক্রম শুরু করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক লাখ বর্গফুট আয়তনের একটি সিএফএস শেডের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এতে এলসিএল কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সুবিধা হবে বলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়ছে। করোনাকালেও কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ে বেশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কন্টেনার হ্যান্ডলিং বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরে এলসিএল (বেশ কয়েকজন আমদানিকারকের পণ্য একই কন্টেনারে) বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরনের কন্টেনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে বেশ বেকায়দায় ছিল। এলসিএল কন্টেনারে আনা পণ্যগুলো বন্দরের অভ্যন্তরে খোলা হয়। একটি স্টেশনে সবগুলো পণ্য আমদানিকারক হিসেব করে ভাগ করে রাখা হয়। ওখান থেকে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকেরা নিজেদের ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যানে করে পণ্যগুলো খালাস করে নিয়ে যান। বিশ্বের আধুনিক কোনো বন্দরে এই কাজ বন্দরের অভ্যন্তরে করে না। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দর আমদানিকারকদের স্বার্থ বিবেচনা করে দীর্ঘদিন ধরে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাজটি করে আসছে। এতে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে মারাত্মক রকমের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বন্দরের কার্যক্রমে সার্বিক গতিশীলতায়ও দেখা দেয় সীমাবদ্ধতা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অবশেষে প্রায় এক লাখ বর্গফুটের একটি শেডকে সিএফএস শেড হিসেবে ঘোষণা করেছে। বন্দরে আমদানিকৃত গাড়ির জন্য সংরক্ষিত এফ শেডকে সিএফএস শেড ঘোষণা করা হয়েছে। এই শেডে এখন থেকে গাড়ির পরিবর্তে এলসিএল কন্টেনার থেকে পণ্য আনস্টাফিং করে রাখার কাজে ব্যবহৃত হবে। যেখানে একাধিক আমদানিকারকের পণ্য একই কন্টেনারে নিয়ে আসা কন্টেনার থেকে নামিয়ে রাখা হবে। যা আমদানিকারকেরা নিজেদের মত করে খালাস করে নিয়ে যাবেন।
আমদানিকৃত গাড়ি রাখার কাজে ব্যবহৃত এফ শেড-এর আয়তন ৯৩ হাজার ৫২৫ বর্গফুট। এতে অন্তত ১ হাজার কন্টেনারের পণ্য স্তুপ করে রাখা যাবে। প্রতিদিন এই শেডে অন্তত ৫০ টিইইউএস এলসিএল কন্টেনারের পন্য হ্যান্ডলিং হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
এলসিএল কন্টেনারের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে সংকটে থাকা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ বড় ধরনের ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে তৈরি পোষাক খাতে এর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। একাধিক গার্মেন্টস কারখানার কাঁচামাল নিয়ে আসা এলসিএল কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে এফ শেডের এই কার্যক্রম যথেষ্ট গতিশীলতা তৈরি করবে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক গতকাল দৈনিক আজাদীর সঙ্গে আলাপকালে বলেন, এফ শেড এখন থেকে সিএফএস শেড হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আমদানিকৃত এলসিএল কন্টেনারের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষ এই বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআগাছাকে কি করা যায় সেটা ভাবতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধবিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদদের স্মরণ