বিশ্বকাপের এবারের আসরের শুরু থেকে সবচাইতে বেশি আলোচিত হচ্ছে বাংলাদেশের ফিল্ডিং। সিরিজের পর সিরিজ, টুর্নামেন্টের পর টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে গেলেও বাংলাদেশের ফিল্ডিং নিয়ে হতাশার চিত্র বদলাচ্ছে না। ম্যাচের বিশেষ মুহূর্তে ক্যাচ ফেলে হচ্ছে জয় হাতছাড়া। আপাতত এর কোন সমাধান না মিললেও কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তবে এই ক্যাচ ফেলার পেছনে টেকনিক্যালি খুব একটা সমস্যা দেখেন না বাংলাদেশ দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জাতীয় দলের সঙ্গে থাকা এই নির্বাচকের ধারণা, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মনস্তাত্বিক চাপ সামলাতে পারছেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৯টি ক্যাচ ছেড়েছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। ‘নো’ বলে আরেকটি ছুটেছে সাকিব আল হাসানের হাত থেকে। এসব ব্যর্থতার জন্য চড়া মাশুলই দিতে হয়েছে দলকে। ফিল্ডিংয়ে এই ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছিলেন হয়তো চাপের জন্য ক্যাচ ছুটছে ক্রিকেটারদের হাত থেকে। তার সঙ্গে একমত নির্বাচক হাবিবুল বাশারও। তিনি বলেন আমরা কিন্তু যথেষ্ট ফিল্ডিং অনুশীলন করি। যখন বড় কোনো আসরে আমরা নামি কিংবা দেশের মাটিতে খেলি, মনস্তাত্বিক চাপ নিতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। এই চাপ অনেক সময়ই আমরা নিতে পারি না। আমাদের যারা ক্যাচ মিস করেছে, তারা কিন্তু দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডার। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের ওই চাপ নিতে পারাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয়, এই বিষয়টা নিয়ে আমাদের বেশি কাজ করা উচিত। অনুশীলনে তারা কিন্তু যথেষ্টই কাজ করছে। ব্যাটিং কিংবা বোলিং অনুশীলন আলাদা হলেও ফিল্ডিং অনুশীলনটা কিন্তু সবাইকেই করতে হয়। সুতরাং সেদিকে আমি কোনো ঘাটতি দেখছি না। তবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ নেওয়ার চাপ সামলানোর বিষয়টা আমাদের শিখতে হবে ভবিষ্যতে। ব্যাটিং, বোলিং একেক উইকেটে একেক রকম হতে পারে। কিন্তু ফিল্ডিং তো সব মাঠে একই হওয়া উচিত। হাবিবুল মনে করেন, দল হিসেবে ধারাবাহিক হয়ে উঠতে ফিল্ডিংয়েও ধারাবাহিক হতে হবে মাহমুদউল্লাহদের। কোনো ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং খারাপ হতেই পারে। তবে ফিল্ডিংয়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো করতেই হবে।
