চাপাতির কোপে কিশোরের পা হারানোর শঙ্কা

ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে বিতণ্ডা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

খাগড়াছড়িতে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে রাকিব হাসান (১৬) নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। এতে ওই কিশোরের একটি পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা সদরের শালবন এডিসি হিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কিশোরকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেন, রাকিবের পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (আজ) তার পায়ে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় গতকাল বুধবার ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ ও আরও তিন-চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা হলেন আব্দুর রহিমের ছেলে মো. হোসেন (২২), আবুল কাশেমের ছেলে মো. রায়হান (২৪), শহিদের ছেলে মো. হানিফ (২৩) ও আবজাল হোসেনের ছেলে মো. অনিক (২৪)। তারা সবাই শালবন এডিসি হিলের বাসিন্দা।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে তর্ক-বিতর্কের জেরে রাকিব নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে গুরুতর জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী কিশোর বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় কিশোরের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেছেন। এতে চারজনের নাম উল্লেখ ও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ওসি বলেন, মামলার আসামি হানিফও হাসপাতালে আহতবস্থায় চিকিৎসাধীন। চিকিৎসক তাকে রিলিজ দেওয়ার সাথে সাথে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।

ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, গত সোমবার রাত ৯টার দিকে এডিসি হিল এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে ছেলের বিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা বিষয়টি মিটমাট করে দেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে রাকিব বাসা থেকে বের হয়ে স্থানীয় আবু বকরের বাসার সামনে গেলে তাকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে অভিযুক্ত আসামিরা। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় রাকিবকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাসিমুখে বাড়ি ফিরলেন করদাতারা
পরবর্তী নিবন্ধস্কুলের সামনের সড়কে মুহূর্তেই লাশ হল ফুটফুটে শিশুটি