নগরের চান্দগাঁওয়ে ছুরিকাঘাতে আহত যুবক ইমন দাশ (২৪) মারা গেছেন। গতকাল রোববার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে ৩০ নভেম্বর ভোর ৫টার দিকে পূজার ফুল আনার জন্য পার্শ্ববর্তী বাড়িতে যাওয়ার সময় মৌলভী বাজার মরিয়ম ক্লাবের পাশে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা ১৪দিন চমেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন ইমন।
ইমন পটিয়ার ধলঘাটের কালু দাশের বাড়ির সাগর দাশের সন্তান। তবে নগরে বাবা–মা ও স্ত্রীসহ চান্দগাঁও মৌলভী বাজার ওয়াসা রোডের মরিয়ম ক্লাবের পাশে বক্করের বাসায় বসবাস করতেন। ইমনের মৃত্যুর পর তার পরিবার দাবি করছে, মাদক বিক্রির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তবে এ ঘটনায় গত ৩ ডিসেম্বর ইমনের বাবার দায়ের করা এজাহারে মাদক সংক্রান্ত বিষয়টি উল্লেখ ছিল না। সেখানে বলা হয়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে ইমনের ওপর হামলা হয়েছে।
এজাহারে ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারভুক্তরা হচ্ছেন– নয়ন মহাজন (২৯), কিরণ (৩০), আবু হানিফ (২৮), মহিউদ্দিন শরীফ (২৩) ও মো. নেজাম (৩৫)।
এজাহারে বলা হয়, ইমনের সঙ্গে নয়নের বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা ইমনকে ধারালো কিরিচ ও চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারি কুপিয়েছে। এতে গুরুতর আহত হন ইমন।
ইমনের মা তাপসী দাশ আজাদীকে বলেন, যে ছেলে মারছে সে মরিয়ম ক্লাবের ওখানে মাদক ববসা করতে চেয়েছে। আমার ছেলে বাধা দেয়। এটা নিয়ে মারামারির মত হয়েছে। ওই ছেলে আমাকে গালাগালি করায় ইমন ওই ছেলের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। এর তিন দিন পর একা পেয়ে আমার ছেলেকে ৫ জনে মিলে মেরেছে। তিনি বলেন, আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই। আমার ছেলে যাকে মারছে সে এক ঘণ্টার জন্য হাসপাতালের বেডে ভর্তি ছিল না। কিন্তু আমার ছেলেকে একেবারে মেরে ফেলেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোবাইলে কল দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।












