লোহাগাড়ায় চাচাতো ভাইয়ের কোদালের আঘাতে শাহ আলম (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘাটিয়ার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহ আলম ওই এলাকার মৃত আশরাফ মিয়ার পুত্র ও আধুনগর বাজারের লেপ–তোষক ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত শাহ নেওয়াজ লাভলু একই এলাকার মৃত মোজাহের আহমদের পুত্র।
স্থানীয়রা জানান, শাহ আলম ও লাভলুর বসতঘর পাশাপাশি। পূর্বে তাদের মধ্যে জায়গা নিয়ে বিরোধ ছিল। তবে স্থানীয়ভাবে পরে তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ মিমংসাও করে দেয়া হয়েছিল। এরপর উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় ছিল। ঘটনারদিন সকালে শাহ আলম তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাবার জন্য বসতঘর থেকে বের হন। এ সময় লাভলু তার নবনির্মিত বসতঘরের সামনে চলাচলের রাস্তা দখল করে বালুর বস্তা দিচ্ছিলেন। শাহ আলম চলাচলের রাস্তায় বালুর বস্তা দিতে নিষেধ করলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লাভলুর হাতে থাকা কোদাল দিয়ে শাহ আলমের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করেন। এতে শাহ আলম মাটিতে ঢলে পড়েন ও মাথা ফেটে বেরিয়ে যায় মগজ। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে শাহ আলমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত লাভলু দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের কোদালের আঘাতে শাহ আলম নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্বামীকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন স্ত্রী পারভিন আক্তার। বর্তমানে তিনি উপজেলা সদরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাদিয়া জানান, শাহ আলম নামে এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে আনেন স্বজনরা। তার মাথায় কোপের আঘাতে মগজ বের হয়ে গেছে। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।












