চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে পাকিস্তানি পেঁয়াজ, প্রভাব নেই দামে

জাহেদুল কবির | শুক্রবার , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ

ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারী বাজার চাক্তাইখাতুনগঞ্জে ইতোমধ্যে প্রবেশ করেছে পাকিস্তানি পেঁয়াজ। তবে দামের ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। এছাড়া দেশের স্থলবন্দরগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে পাইকারীতে দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দুইদিনে চাক্তাই খাতুনগঞ্জে ৫৮০ টন পাকিস্তানের পেঁয়াজ প্রবেশ করেছে। তবে আমদানিকারকদের এসব পেঁয়াজ লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ পাকিস্তানের পেঁয়াজের গুণগত মান খারাপ।

চাক্তাইখাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫৫৬ টাকায়। এছাড়া পাকিস্তানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮৪০ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।

পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি(তাহেরপুরী), বারি(রবি মৌসুম), বারি(খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছর জুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে। চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, বাজারে পাকিস্তানি পেঁয়াজের দাম কম। তবে এসব পেঁয়াজের মানও অতটা ভালো না। ভারতীয় পেঁয়াজের বাজার চাহিদা বেশি। গুণগত মানও খুব ভালো। তাই বাজারে পাকিস্তানি পেঁয়াজ আসলেও দামের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়েনি। আগামীতে চীনা পেঁয়াজ আসতে পারে, তখন হয়তো প্রভাব পড়তে পারে।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, দেশের স্থলবন্দরগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে আরো ২ টাকা বেড়ে গেছে। ভারত থেকে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রপ্তানি হচ্ছে না। নগরীর দামপাড়ার খুচরা বিক্রেতা মোহাম্মদ রানা বলেন, বর্তমানে আমরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০৬৫ টাকায় বিক্রি করছি। আমার কাছে পাকিস্তানি পেঁয়াজ নেই। এসব পাইকারী বাজার থেকে কম দামে কিনলে আমরাও কম দামে বিক্রি করবো। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম

নাজের হোসাইন দৈনিক আজাদীকে বলেন, পেঁয়াজের বাজার নিয়ে আসলে নতুন করে কিছুর বলার নাই। পেঁয়াজ বাজার থেকে ব্যবসায়ীরা যা মুনাফা করার ইতোমধ্যে করে ফেলেছেন। এখন বাজারে পাকিস্তানি পেঁয়াজ এসেছে, তারপরেও বাজারে তার কোনো প্রভাব নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভোটে হস্তক্ষেপ নয়, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য জনগণকে নেতা নির্বাচন করতে দেওয়া : হাস
পরবর্তী নিবন্ধপূরণ হল জুনায়েদের আকাশছোঁয়ার স্বপ্ন