চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ক্রেতার দেখা নেই

নেই শ্রমিকদের হাঁকডাক

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৬ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

সরকার ঘোষিত ৮ দিনের লকডাউনের দ্বিতীয় দিন ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারি বাজার চাক্তাই খাতুনগঞ্জে দেখা নেই ক্রেতার। ফলে অধিকাংশ সময় ব্যবসায়ীদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। গতকাল চাক্তাই খাতুনগঞ্জে সরেজমিনে দেখা যায়, চাক্তাই খাতুনগঞ্জের অনেক সড়কে সুনসান নীরবতা। এছাড়া নেই শ্রমিকদের চিরচেনা হাঁকডাক ও চিৎকার চেচামেচি। দেখা যায়নি রাস্তার দু পাশে ট্রাক কাভার্ড ভ্যানের দীর্ঘ সারি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য আমদানি হওয়ায় পাইকারি পর্যায়ে প্রায় সব ধরণের ভোগ্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী। একমাত্র তেলের বাজার কিছুটা চড়া, তাও আগের তুলনায় কমছে। এমনকি ছোলা ও ডালের দাম এ বছর কম। তার ওপর সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণা দেয়ায়, বাজারে ক্রেতা নেই। কিছু পুরনো অর্ডার ডেলিভারি হচ্ছে। অন্যদিকে লকডাউনে ব্যাংকের সময় সীমা কমে যাওয়ায়ও বাজারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অনেক পার্টি বিকেলে টাকা পরিশোধ করতে চায়, কিন্তু ব্যাংকের নতুন সূচি অনুযায়ী তা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ব্যাংকিং লেনদেনেও ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জের কয়েকজন আড়তদার জানান, খাতুনগঞ্জের ব্যবসা বাণিজ্য গত বছর খানেক যাবত এক প্রকার ভাটা পড়েছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতনের কারণে ভোগ্যপণ্যের দাম কমে গেছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়ীরা যে লোকসান গুণছেন, সেই হিসেবে সরকারি প্রণোদনা কারো ভাগ্যে জুটছে না। এখন করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। ভোগ্যপণ্যের বাজার লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হলেও পরিবহন সংকটসহ নানাবিধ সমস্যায় বাজারে ক্রেতা আসছে না।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, লকডাউনের কারণে চাক্তাই খাতুনগঞ্জে চিরচেনা সেই ব্যস্ততা নেই। ব্যবসায়ীরা যা বাজার করার আগেই করে ফেলেছেন। যার ফলে বেচাবিক্রি কমে গেছে। করোনার ধাক্কায় আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। একে তো বাজারের পণ্যের দাম কম, তার উপর ক্রেতা নেই। অন্যান্য বছর এমন সময় পণ্য বিক্রি করতে করতে দম ফেলার ফুসরত থাকতো না। কিন্তু গত দুই বছর করোনার কাছে আমাদের অসহায় আত্মসমর্পন করতে হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহা সড়কে কড়া তল্লাশি
পরবর্তী নিবন্ধপার্সেল ট্রেনে দিন দিন আয় বাড়ছে