গত ১ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সিন্ডিকেট সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। এর মধ্যে চলছে ছাত্র সংগঠনগুলোর নির্বাচনী তোড়জোড়। সবার প্রত্যাশা কখন হচ্ছে চাকসু নির্বাচন। তবে চাকসু নির্বাচন আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মনির উদ্দিন। গতকাল সোমবার তিনি এ বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চাকসু নির্বাচন দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আমরা।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচনী কমিটির কাছে চাকসুর চূড়ান্ত গঠনতন্ত্র হস্তান্তর করেছে। তবে এখনো আচরণবিধি তৈরি হয়নি এবং পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকাও হাতে পাওয়া যায়নি। এ দুটি বিষয় সম্পন্ন হলে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমাদের একটি কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে চাকসু ভবনে। বর্তমানে এর সংস্কার কাজ চলছে। সংস্কার শেষ হলে পুরোদমে কাজ শুরু করবো আমরা।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটি : চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৮তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চাকসু নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন প্রফেসর ড. মনির উদ্দিন। কমিটির তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন। কমিটির সদস্য সচিব শহীদ আব্দুর রব হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী। অন্যান্য সদস্যরা হলেন, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী (ডিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ), প্রফেসর ড. মু. আফর উল্লাহ তালুকদার (ডিন, আইন অনুষদ), প্রফেসর ড. বেগম ইসমত আরা হক (প্রভোস্ট, শামসুন নাহার হল), প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন (পরিচালক, ছাত্র–ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্র), প্রফেসর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ (প্রক্টর), প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমদ ও অধ্যাপক ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ (ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক), প্রফেসর ড. রুমানা আক্তার (সভাপতি, মনোবিজ্ঞান বিভাগ), প্রফেসর মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী (ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস), সহকারী অধ্যাপক গোলাম হোসেন হাবীব (ইংরেজি বিভাগ)।
জানা গেছে, নতুন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২৮ করা হয়েছে এবং সদস্য ও প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ বছর। নির্বাহী সদস্যের সংখ্যা ১০ থেকে কমিয়ে ৫ জন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, চবিতে এখন পর্যন্ত চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে মাত্র পাঁচবার ১৯৭০, ১৯৭১, ১৯৭৩, ১৯৮০ ও ১৯৯০ সালে। এরপর দীর্ঘ ৩৫ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আর কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।