চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) গঠনতন্ত্র সংস্কার নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, চবি শাখা। গতকাল সোমবার দুপুরে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দীন মহসিন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আপত্তি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সকল সাধারণ এবং রাজনীতি সচেতন শিক্ষার্থীর প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ছাত্রসংসদ নির্বাচন ও সুষ্ঠু ধারার ছাত্ররাজনীতি চর্চার সুযোগ নিশ্চিত করা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলও এর ব্যতিক্রম নয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলসহ ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাকসু আয়োজনের জন্য গঠনতন্ত্র সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে। চাকসু নির্বাচনের জন্য প্রার্থীর যোগ্যতা নির্ধারণে সকল ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন ও মতাদর্শের শিক্ষার্থীদের ঐক্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ‘হ্যাঁ/না’ ভোটের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়কে বিবেচনায় আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ক্যাম্পাসের সকল সংগঠনের মতামত সংস্কারে উপেক্ষা করা হয়েছে দাবি করে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ বলেন, সিন্ডিকেট অনুমোদিত গঠনতন্ত্রে প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পাশাপাশি এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নরতদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তবে সেখানে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। চবি ছাত্রদল মনে করে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন ও রাজনীতি সচেতন শিক্ষার্থীদের মতকে অগ্রাহ্য করেছে, যা সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে না। একইসঙ্গে, প্রশাসন কোনো বিশেষ দলকে সুবিধা দিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না–সে বিষয়ে আমরা গভীর সন্দেহ প্রকাশ করছি। পদবিন্যাসে নারীর প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাকসুর গঠনতন্ত্রে দপ্তর সম্পাদক ও সহ–দপ্তর সম্পাদক–উভয় পদই পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে, যা চরম বৈষম্যমূলক। চবি ছাত্রদল মনে করে, উক্ত পদদ্বয় নারী–পুরুষ উভয়ের জন্যই উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত।
চবি প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন একপাক্ষিক সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করছি এবং উক্ত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু, পক্ষপাতহীন নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে জোর দাবি জানাচ্ছি।