টেকনাফে মারধরে আহত হয়েছে মোহাম্মদ হোছন (৫০) নামের এক পাহারাদার। গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার সময় টেকনাফ বাস টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পিতাকে রক্ষা করতে গিয়ে হেনস্থা হয় দুই মেয়ে ফাতেমা বেগম ও রোজিনা আক্তার। এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। আহত মোহাম্মদ হোছন টেকনাফ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড নাইট্যং পাড়ার মৃত নবী হোছনের ছেলে।
মোহাম্মদ হোছন জানান, তিনি পেশায় একজন পাহারাদার। টেকনাফ পৌরসভাস্থ বাসটার্মিনাল পার্কিংয়ে হাসিম, নুর মোহাম্মদ ও জাহাঙ্গীরের ৮টি গাড়ি দীর্ঘদিন ধরে পাহারাদার হিসেবে দেখাশুনা করে আসছেন। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে পাহারাদারের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য স্থানীয় নাইট্যং পাড়ার করিমুল্লাহ প্রকাশ কালাইয়ার ছেলে ইদ্রিসসহ (৩৫) সঙ্গীয় অপারপর ২/৩ জন বিভিন্নভাবে তাকে ভয়ভীতি দেখায়। এমনকি চাকরি ছেড়ে না দিলে হত্যার হুমকি দেয় বলে জানান হোছন।
তিনি বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার (গতকাল) বিকাল ৫টার সময় আমি বাস টার্মিনালের ভেতরে গাড়ি পাহারা দেওয়ার সময় ইদ্রিসের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন সন্ত্রাসী আমার ওপর হামলা করে এবং আমাকে কিল–ঘুষি ও লাথিসহ কাঠের লাঠি দিয়ে মেরে আহত করে। এ সময় আমার দুই মেয়ে রুজিনা আক্তার ও ফাতেমা বেগম আমাকে উদ্ধারের জন্য বাস টার্মিনালে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকেও মারধর ও তাদের শ্লীলতাহানি করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা ফাতেমা বেগমের গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরে আমাদের চিৎকারে লোকজন জড়ো হলে সন্ত্রাসীরা আমাকে প্রাণে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানিয়ে প্রতিকার চেয়ে টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান মোহাম্মদ হোছন।
টেকনাফ মডেল থানার এসআই আবু সাঈদ এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে জানিয়ে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
