সিএমপির ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের কনস্টেবল মহিবুল্লাহ অতি লোভ করতে গিয়ে অবশেষে চাকরিটাও হারালেন। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ইতোপূর্বে মহিবুল্লাহসহ তার ছেলে বিকাশের এজেন্ট মো. ইয়াছিন আরাফাত তুষার (২৩), সহযোগী জাহিদ হোসেন (৩৯) ও রাশেদ হাসান (৩২)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ১৮ জানুয়ারি, মঙ্গলবার ভুক্তভোগী নবী হোসেন নামে এক ব্যক্তি পাহাড়তলী থানার মামলা করলে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সিএমপির ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত কনস্টেবল মোহাম্মদ মহিবুল্লাহকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন সিএমপি ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের উপ–পুলিশ কমিশনার তারেক আহমেদ। তিনি বলেন, অনৈতিক কার্যকলাপের সাথে যে–ই জড়িত থাকবে তাকেই শাস্তি পেতে হবে।
গত ১৮ জানুয়ারি এক আদেশে তিনি জানান, গত ১৬ জানুয়ারি নবী হোসেন নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম কোর্টে হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে পাহাড়তলী সিডিএ মার্কেট এলাকায় কনস্টেবল মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ তাদের বহনকারী প্রাইভেট কারটিকে থামানোর নির্দেশ দেন। গাড়ি থামলেই কনস্টেবল মহিবুল্লাহ গাড়িতে উঠে মামলায় ফাঁসিয়ে দেবেন বলে ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। এতে রাজি না হলে মামলার ভয়ে কনস্টেবল মহিবুল্লাহকে নগদ ৮ হাজার টাকা এবং বিকাশে এক লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করা হয়।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৮ জানুয়ারি কনস্টেবল মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ তার ছেলে বিকাশ এজেন্ট মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত, জাহিদ হোসেন, রাশেদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।











