মশা নিধন হোক, গড়ে উঠুক মশাবিহীন শহর! এই স্লোগানে কর্মসূচি পালন করা হোক-ইঁদুরপচা, বিড়ালপচা, কুকুরপচা, পাখি, যেখানে সেখানে পচে থাকে এই পচনের উপর মশা মাছি বসে। ঐ মাছি পচন ব্যাকটেরিয়া খায় তারপর সবার গায়ে কামড়ায়। তখন রক্তে মিশে তৈরি হচ্ছে আরেক মহামারী ভাইরাস। একবার চিন্তা করে দেখলে বুঝা যায়। নিজে সচেতন হই অন্যকে সচেতন করি। আমরা যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলবো না। পরিষ্কার রাখবো নিজের আঙিনা- প্রিয় শহর। আমার এক পরিচিত বুঝতে পারছে না তার জ্বর কেন-করোনাও নেগেটিভ, জন্ডিসও নেগেটিভ, টাইফয়েড নেগেটিভ-পরে অনেক পরীক্ষার পরে খুঁজে পাওয়া গেল বিষাক্ত মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া হয়েছে। তা বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সুন্দর জীবনটি। চট্টগ্রাম আমাদের প্রিয় শহর মশার কামড় অনেক বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে নিয়ে যায় প্রতিটা জীবন।এটাও এখন একধরনের ভাইরাস। অনেক বেশি মশার উপদ্রব হয়, যেখানে সেখানে বিভিন্ন পশু পাখি মৃত অবস্থায় পচে থাকে ওখানকার মশা খাবারে বসে, গায়ে কামডায়। অপ্রিয় হলেও সত্য আমরা মশা থেকে রক্ষা পাওয়ার কোন উপায় আজ অব্দি বের করতে পারিনি। কয়েল, মশারী, স্প্রে কিছুই কাজ হয় না। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে ওষুধ দেওয়া হয় কিন্তু প্রতিকার এখনও হচ্ছে না- সবার কাছে অনুরোধ জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য অনেক চেষ্টা করা সত্ত্বেও নিভৃতভাবে আমরা যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখি সবখানে। ময়লার স্তূপ থেকে মশার উপদ্রব হচ্ছে। আমার অনুরোধ যদি এবছরকে আমরা সবাই একত্রিত হয়ে মশা নিধন কর্মসূচি পালন করি! সবাই মিলে করি কাজ- হারি জিতি নাহি লাজ! মাঝে মাঝে আমরা মশারি দিচ্ছি কিন্তু সচেতন করছি না কাউকে। এই মশাও জীবনের ঝুঁকি হতে পারে করোনা ভাইরাসটির মতো। প্রত্যেক এলাকায় এলাকায় মশা নিধন কর্মসূচি অব্যাহত হোক। একদিনে হয়তো সম্ভব নয়। শুরু করলে আস্তে আস্তে হয়ে উঠবে মশাবিহীন শহর!