চাঁদে উদ্ভিদ জন্মানোর চেষ্টা!

| শনিবার , ৮ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তারা ২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদে উদ্ভিদ জন্মানোর চেষ্টা করছেন। আর এজন্য গতকাল শুক্রবার নতুন একটি মিশন শুরু করেছেন তারা। লুনারিয়া ওয়ান নামের একটি সংস্থা এই প্রকল্পটি পরিচালনা করছে। অস্ট্রেলিয়া ও ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা এ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদে মানব বসতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। খবর বাংলানিউজের।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির উদ্ভিদ জীববিজ্ঞানী ব্রেট উইলিয়ামস বলেন, বীজগুলো ইসরায়েলি বেসরকারি মহাকাশযান বেরেশিট-২-এর মাধ্যমে পাঠানো হবে। চাঁদে অবতরণের পরে বীজগুলোকে একটি আবদ্ধ ঘরের ভেতর রেখে পানি দেওয়া হবে। এরপর সেগুলো অঙ্কুরোদগম ও বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করা হবে। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও কোনো উদ্ভিদ বেশি সময় ধরে টিকে থাকতে পারে এবং কত দ্রুত অঙ্কুরিত হতে পারে, তার ভিত্তিতে এই চন্দ্রাভিযানের জন্য উপযোগী গাছের বীজ বাছাই করা হবে। অস্ট্রেলিয়ার এক প্রকারের দীর্ঘজীবী ঘাসকে এ ক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হতে পারে, যা সুপ্ত অবস্থায় এ ঘাস ও পানি ছাড়াই টিকে থাকতে পারে। এ নিয়ে একটি বিবৃতিতে গবেষকেরা বলেন, চাঁদে খাদ্য, ওষুধ ও অক্সিজেন উৎপাদন প্রচেষ্টার আগের ধাপের প্রকল্প এটি। চাঁদের বুকে মানুষের বসতি স্থাপনের ক্ষেত্রে এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্যানবেরার অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক কেইটলিন বার্টের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্য নিরাপত্তাজনিত যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, তা মোকাবিলার ক্ষেত্রেও এ গবেষণা সহায়ক হবে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, চাঁদে উদ্ভিদ জন্মানোর পদ্ধতি যদি আবিষ্কার করা যায়। তবে পৃথিবীতে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কিছু পরিমণ্ডলেও খাদ্য জন্মানোর জন্য একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করা যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহালদায় নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধান মেলেনি
পরবর্তী নিবন্ধফিশারিঘাট থেকে অপহৃত মাঝি ফটিকছড়িতে উদ্ধার