নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ের ফুটপাতে ব্যবসা করতেন রিফাতুল ইসলাম। চাঁদা না দেয়ায় তাকে অপহরণ করা হয়।
আজ তাকে উদ্ধার করা হয় নগরীর আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ রোডের প্রাথমিক শিক্ষা ভবনের পরিত্যক্ত নিচতলা থেকে। এসময় ফুটপাতে চাঁদাবাজি চক্রের সদস্য আবু বক্কর ছিদ্দিক (২৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বিকালে এ তথ্য জানান ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
গ্রেফতার আবু বক্কর ছিদ্দিক ডবলমুরিং থানার মোগলটুলি হাজি ইয়াছিন আলী লেনের জাকিরুল হকের ছেলে। বাংলানিউজ
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রিফাত আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ের ফুটপাতে ব্যবসা করতেন। তার কাছে চাঁদা দাবি করে মুন্না বাহিনি। তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানালে রাতে তাকে তুলে নিয়ে যায় মুন্না বাহিনীর লোকজন। প্রথমে তাকে মারধর করে ২০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নেয় তারা। তারপর তার পরিবারের কাছে ফোন করে আরও এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
তার পরিবার কালক্ষেপণের জন্য ৫ হাজার টাকা দেয়। এরপর কৌশলে পুলিশকে অবহিত করে।
অভিযোগ পাওয়ার পর গতকাল বুধবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা ভবনের পরিত্যক্ত নিচতলা থেকে রিফাতকে উদ্ধার করা হয়। এসময় আবু বকরকে গ্রেফতার করা হলেও পালিয়ে যায় অন্যরা।
ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, “কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে তুলে নিয়ে যেত মুন্না বাহিনী। মারধর করে প্রথমে যা পেত তা ছিনিয়ে নিত তারা। এরপর তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করত। গ্রেফতার আবু বক্কর ফুটপাতে চাঁদাবাজি চক্রের সদস্য। সে মুন্না নামের একজনের গ্রুপে কাজ করে। তারা আগ্রাবাদ এলাকায় ফুটপাতে চাঁদাবাজি করে। এ গ্রুপের সদস্য ৫ জন।”
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবু বক্কর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি। আবু বক্কর ছাড়াও মুন্নার গ্রুপে শুভ দাশ (২৩), শাহ আমানত শিশির (২৬) ও রহমানসহ (২০) আরও কয়েকজন কাজ করে। এর আগেও একই কায়দায় একাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে বলেও জানায় সে।
মূলত ফুটপাতে চাঁদাবাজির আধিপত্য বজায় রাখতেই তারা এ পন্থা অবলম্বন করে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।