প্রবাসী জাফর হত্যা মামলার তিন বছর পর ফের তদন্ত রিপোর্ট তলব আদালতের

আজাদী অনলাইন | রবিবার , ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ at ৯:৩৭ অপরাহ্ণ

প্রবাসী রেমিট্যান্স ফাইটার্স জাফরকে পুলিশ হেফাজতে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্যাতন ও ক্রস ফায়ারে হত্যার অভিযোগে করা মামলার তদন্ত রিপোর্ট দীর্ঘ তিন বছরেও সিআইডি দিতে না পারায় মামলার তদন্ত রিপোর্ট পুনরায় তলবের জন্য বাদীর আবেদনটি বাদীর উপস্থিতিতে চূড়ান্ত শুনানি শেষে সিআইডি থেকে অগ্রগতি রিপোর্ট তলবের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ নভেম্বর) পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম তাররাহুম আহমেদ বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ শুনানি শেষে সিআইডি থেকে অগ্রগতি রিপোর্ট তলবের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে মামলা দায়ের করার তিন বছরেও সিআইডি তদন্ত রিপোর্ট জমা না দেওয়াই পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত রিপোর্ট তলবের আবেদন করেন মামলা বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ নবী। আজ তা অধিকতর শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করেন আদালত।

মূলতঃ মামলাটি দায়ের করেছিলেন ভিকটিমের মামা বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ নবী। তিনি বোয়ালখালী এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার আলী বলির পুত্র। ভিকটিম মোঃ জাফর চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কচুইয়া এলাকার কথামৌজা গ্রামের মোঃ আবদুল আজিজ ছেলে।

তিনি একজন ওমন প্রবাসী।

মানবাধিকার আইনজীবী এড. জিয়া হাবিব আহসান দৈনিক আজাদীকে বলেন, ৩ বছরে ২২ টি ধার্য্য তারিখে অতিক্রান্ত হলও তদন্তে অগ্রগতি নেই এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানকে সাক্ষী না করা সত্বেও তাঁকে সাক্ষী করে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষী নেয়ার জন্যে ডাকা ও আপোষের জন্যে চাপ দেয়া, লিখিত অলিখিত কাগজে স্বাক্ষর নেয়া প্রভৃতি অভিযোগ দায়ের করা হয় আদালতে।

আদালত শুনানি শেষে পরবর্তী ধার্য্য তারিখের মধ্যে সিআইডি থেকে অগ্রগতি রিপোর্ট তলব করেন। বাদীপক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নেন মানবাধিকার আইনজীবী এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, এড. নূর মিয়াসহ আরো অনেকে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার হারবাং এলাকার। নিহত প্রবাসী মোঃ জাফরের বাড়ি পটিয়া উপজেলায়। দীর্ঘ দিন ধরে ওমানে থাকতেন প্রবাসী জাফর। দেশে ফিরেন ঘটনার বেশ কয়েকদিন আগে।

ঘটনার দিন সকাল ছয়টায় পুলিশ পরিচয় দিতে পটিয়ার নিজ বাড়ি থেকে জাফরকে তুলে নিয়ে গিয়ে হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় এ বিষয়ে কোন মামলা না নিলে পরে চকরিয়া হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও চকরিয়া থানা ওসিসহ ১০/১৫জন পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন নিহতের মামা।

আদালত মামলাটি গ্রহন করে ২০ দিনের ঘটনাটি তদন্তে করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন সিআেইডিকে। কিন্তু দীর্ঘ তিন বছরেও এই মামলার কোন তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা না দেওয়াই মামলার তদন্ত রিপোর্ট পুনরায় তলব করার নির্দেশ চেয়ে বাদীপক্ষ একখানা আবেদন করলে আজ রোববার শুনানীর জন্য দিন ধার্য্য করে আদালত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহেড-লাবুশেন জুটিতে বিশ্বকাপ জয়ের পথে অস্ট্রেলিয়া
পরবর্তী নিবন্ধসিআইইউ বিজনেস স্কুল এলএফই কোর্সের শিক্ষার্থীরা