বাঁশখালীর সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানার ওসিকে এজহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাঁশখালী সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক আবদুল হামিদের আদালতে মামলাটি করেন সরল ইউনিয়নের জালিয়াঘাটা গ্রামের আমিনুল ইসলাম চৌধুরী। তাছাড়া মামলায় ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, এ্যাডভোকেট তকসিমুল গণি ইমনসহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী।
মামলার অভিযোগ সূত্র জানায়, বাঁশখালীর সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী জোরপূর্বক জায়গা জবরদখল করে নিজ নামে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, শেখ রাসেল স্টেডিয়াম নির্মাণের নামে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি, চাঁদা দাবি এবং তাঁর নির্দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে জায়গা দখল করেন।
বাদী সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করে বলেন, এমপি থাকাকালীন সময়ে আসামিরা সাবেক এমপির নির্দেশে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার পাশাপাশি বাদীর জায়গায় জোরপূর্বক স্কুল প্রতিষ্ঠা, স্টেডিয়াম নির্মাণের নামে মাটি বিক্রি করে এবং শরীকদেরকে না জানিয়ে জোর করে পুকুরের মাঝখানে বৈঠকখানা নির্মাণ করে পুকুর দখল করেন।
মামলার বাদী আমিনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আসামিরা তাকে বিগত দিনগুলোতে ক্ষমতার জোরে চরমভাবে নির্যাতন করেন। তাকে বাড়ি ঘরেও থাকতে দেননি। মামলা হামলা দিয়ে বাড়িঘর ছাড়া করেন।
বাদীর আইনজীবী এ্যাডভোকেট তকসিমুল গণি ইমন জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানার ওসিকে এজহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা বললে, তারা বলেন মামলার বাদির সাথে পূর্বের বা বর্তমানে আমাদের কোন শত্রুতা নেই। এমন কি কোনদিন কথা কাটাকাটি হয়নি। কি জন্য আমাদেরকে মামলা দেয়া হয়েছে সেইটাও আমার জানিনা। আর মামলায় আমাদের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট ভিত্তিহীন। আমরা এই মামলাটি সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচারের আশা করছি।
বাঁশখালী থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি সুধাংশু শেখর হাওলাদার জানান, মামলার বিষয়টি শুনেছি। আদালত থেকে আদেশের কাগজপত্র এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।