নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের পরিচালকের কাছ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ জন্য নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে মারধরের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আমিরুল ইসলাম শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নাঈম আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রাশেদ আজাদীকে বলেন, মামলায় বাদী চাঁদাবাজি ও মারধরের ধারা যুক্ত করেন। পুলিশও তদন্ত করে দুই ধারায় চার্জশিট দাখিল করেন। কিন্তু আদালতের পর্যালোচনায় চাঁদাবাজির ধারার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ জন্য এ অভিযোগ থেকে নুরুল আজিম রনি ও তার এক সহযোগীকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তবে মারামারির ধারায় দুজনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়েছে। আগামী ৩০ আগস্ট থেকে এ ধারার অভিযোগের উপর সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আদালতসূত্র জানায়, চাঁদাদাবি ও মারধরের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ থানায় নুরুল আজিম রনি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাশেদ মিয়া। দুই আসামি হলেন, নুরুল আজিম রনি ও নোমান চৌধুরী রাকিব। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা তাকে মারধর করেন। এদিকে মামলার তদন্তকাজ শেষ করে একই বছরের ২৩ জানুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, মামলা দায়েরের আগে কোচিং সেন্টারের পরিচালককে মারধর করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর নুরুল আজিম রনিকে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।