রাজধানীর পলাশী বাজারে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দোকানিদের পিটুনির শিকার হয়েছেন ছাত্রলীগের এক নেতা ও তার সহযোগী। পরে তাদেরকে পুলিশে দিয়ে মামলা করেন ব্যবসায়ীরা। সেই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখার সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান এবং তার সহযোগী শহিদুল ইসলাম। গত রোববার রাত ১১টার দিকে পলাশী বাজারের এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন চকবাজার থানার ওসি কাজী শাহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, আমরা জেনেছি, তারা দুজন মিলে নিয়মিত পলাশী বাজার থেকে চাঁদা নেয়। গতকাল রাতে ওরা এসে চাঁদা নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। পরে দোকানিরা মিলে তাদের আটকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। খবর বিডিনিউজের।
পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য, পিটুনির পর চিকিৎসার জন্য দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয় পুলিশ। সেখান থেকে আনা হয় থাকায়। এর মধ্যে পলাশী বাজারের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল সোমবার আদালতে পাঠায় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় নজরুল এবং মাহবুব নামের দুই ব্যবসায়ীকে মারতে যান ছাত্রলীগ নেতা ও তার সহযোগী। এতে দোকানিরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকেই মারধর করে।
পলাশী দোকান মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক বলেন, রাত ১১টার দিকে এসে এই ছাত্রলীগ নেতা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। বাধা দিলে সে নজরুল নামে এক ব্যবসায়ী মারধর করে এবং চাপাতি দিয়ে কোপাতে যায়। সে (ব্যবসায়ী) দৌড়ে পালিয়ে গেলে আমাকে চাপাতি দিয়ে মারতে আসে। আশেপাশে থাকা দোকানিরা তাদেরকে (ছাত্রলীগ নেতা ও তার সহযোগী) ধরে ফেলে আমাকে উদ্ধার করে। তারপর সবাই মিলে পিটুনি দেয়। পরে আমরা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বলেন, এরা দুজন নিয়মিত চাঁদাবাজি করতে আসে বাজারে। আজকে মারতে আসলে আমরা সবাই ধরে তাদের পিটুনি নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেই।
মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে আগে থেকেও নানা অভিযোগ আছে। ২০২১ সালে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে মাদকসহ আটক হন তিনি। সে সময় হল প্রশাসন তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের হাতে তুলে দেয়। মদের বারে মারামারি করার পর ২০১৪ সালে সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে পদ থেকে তাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।