চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় হামলা, দাবি নগর শিবিরের

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৩ জুলাই, ২০২৫ at ৪:৩১ পূর্বাহ্ণ

ছাত্রদল ও যুবদলের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণের পাশাপাশি ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা চকবাজার থানা এলাকায় ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর দেশীয় ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়। হামলায় ছাত্রশিবিরের ৩ জন কর্মী গুলিবিদ্ধ ও ২২ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয় বলেও দাবি করা হয়।

ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি তানজীর হোসেন জুয়েল ও সেক্রেটারি মুমিনুল হক যৌথ বিবৃতি বলেন, যুবদল নেতা বাদশাহর অনুসারিরা কিছুদিন পূর্বে ভ্যান থেকে চাঁদাবাজি করতে গেলে ছাত্রশিবিরের জনশক্তি মো. আরিফ স্থানীয় জনতাকে সাথে নিয়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ঘটনার ক্ষোভে সোমবার দিবাগত রাতে আরিফকে একা পেয়ে বাদশার অনুসারিরা আরিফকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে থানায় নিয়ে যায়। অথচ আরিফ স্বৈরাচারীর আমলে ২০১৮ সালে রাজনৈতিক মামলায় ছাত্রশিবির হিসেবে গ্রেপ্তার হয়। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখতে গিয়ে গুরুতর আহত হন।

বিৃতিতে বলা হয়, ঘটনা জানতে পেরে আরিফকে ছাড়াতে তার ক্লাসমেটসহ শিবিরের কয়েকজন দায়িত্বশীল থানায় যান। এ সময় আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা বাদশার নেতৃত্বে যুবদল ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ভারী ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আহত গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী জাবেরুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাকে এখন আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় পুরো জাতি যেখানে শোকে স্তব্ধ, সেখানে যুবদল ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে হতবাক। তাদের এ ধরনের চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম কোনোভাবেই চলতে পারে না। ছাত্রশিবিরের জনশক্তি ও শিক্ষার্থীদের ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আহ্বান করছি। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ দ্রুত সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল ঢাকায়
পরবর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগ নেতার ছেলে কারাগারে