বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় একটি চাঁদপুর–লাকসাম রেলপথ। ১৮৯৫ সাল থেকে চলে আসা ৬৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ রেলপথের ইতিহাস বিরল হলেও বর্তমানে তা বিলুপ্তির পথে। একসময় এ রেলপথে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করলেও বর্তমানে এ সুবিধা ভোগ করতে পারছে না চাঁদপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। বিগত কয়েক বছর আগেও সকাল ৭টায় লাকসাম থেকে চাঁদপুর কমিউটার নামে একটি ডেম্যু ট্রেন চাঁদপুরের উদ্দেশ্য ছেড়ে যেতো, আবার এ ট্রেনটিই সকাল সাড়ে ৯ টায় কুমিল্লার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর থেকে রওনা দিতো। এরপর সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম থেকে লাকসাম হয়ে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে এসে পূনরায় দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে চাঁদপুর ত্যাগ করতো। কিন্তু করোনা মহামারির এই দুর্যোগ মুহুর্তে তা একেবারে বন্ধ হয়ে যায় পূর্বের সিডিউল। চাঁদপুর কমিউটার ট্রেনটি বন্ধ করে দেয়ার পর বর্তমানে সাগরিকা এক্সপ্রেস ও মেঘনা এঙপ্রেস ট্রেন চলাচল করছে চাঁদপুর–লাকসাম–চট্টগ্রাম রেলপথে। চাঁদপুর কমিউটার ট্রেনটি চালু থাকা অবস্থায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তের স্কুল–কলেজের শত শত শিক্ষার্থী রেল ভ্রমণ করে আসা যাওয়া করতো। কিন্তু তা এখন আর হয়ে ওঠে না। বেশি ভাড়া দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পথেই চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। এছাড়াও চাঁদপুর জেলা শহরে কর্মরত সরকারি বেসরকারি খেটে খাওয়া অসংখ্য মানুষ সকালে ডেম্যু ট্রেনে গিয়ে আবার বিকেলে ফেরত আসতে পারতো। কিন্তু বর্তমানে অতি কষ্টে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। তাই শিক্ষার্থী ও খেটে খাওয়া মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে দ্রুত বন্ধ হয়ে যাওয়া ট্রেনগুলো বাংলাদেশ পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের কাছে চালু করার দাবী জানাচ্ছি।
মোঃ মাসুদ হোসেন
চাঁদপুর সদর।