বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ আর বিএনপির অভিযোগের মধ্য দিয়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শেষ হয়েছে। সেই উত্তাপ গড়িয়েছে সংসদেও। একটি খসড়া আইন পাসের সময় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ভোটের প্রসঙ্গ তুললে আইনমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির সদস্যরা এর জবাব দেন।
গতকাল ‘দ্য সিভিল কোর্টস (সংশোধন) – ২০২১’ সংসদে পাসের সময় জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব তোলেন বিএনপির হারুনুর রশীদ। সে সময় তিনি বলেন, সংবিধানে বলা আছে সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রশাসন চালাবেন। কিন্তু আজ কী হচ্ছে? নির্বাচনের নামে তামাশা হচ্ছে, প্রহসন হচ্ছে। এর প্রয়োজন নেই তো। ভোটের প্রয়োজন নেই, আইন করে নির্বাহী ক্ষমতাবলে প্রধানমন্ত্রী যাকে খুশি মনোনয়ন দেবেন। তিনি নির্বাচিত হবেন। সকালে দেখলাম, চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশনে কী হচ্ছে।
এ সময় সরকারদলীয় সদস্যরা প্রতিবাদ করলে হারুন বলেন, একটুকুও অসত্য বলছি না। তথ্য জেনে বলছি। খবর বিডিনিউজের।
পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অন্য সদস্যদের জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবের জবাব দেওয়ার পর বলেন, আমরা এখানে যারা আছি, গতকালকে জন্ম নিইনি। উনারা নির্বাচনের কথা বলছেন। আমরা জিয়াউর রহমানের সময় ‘হ্যাঁ-না’ ভোট দেখেছি। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দেখেছি। ব্যালটবাঙ পাওয়া যেত না। ভোট যে দেবে, ব্যালট বাঙ নেই। যাদের এই চরিত্র, তাদের কাছ থেকে নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু করতে হয়, সেটা শেখার প্রয়োজন নেই। জনগণকে ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি।
পরে সংশোধনী প্রস্তাব তোলার সময় বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ভোট দেয় প্রশাসন। আর দেখে জনগণ। ভোটটা সুষ্ঠু করে করলেই তো হয়। কারও থেকে ভোট শিখতে হবে না। ভোট কীভাবে দিতে হয় সেটা সবাই জানে। ভোটটা দিতে দিলেই হয়। পরে সংশোধনী প্রস্তাব তোলার সময় হারুন বলেন, এখনই দেখেন চট্টগ্রামে বহু কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের পাস দেওয়া হচ্ছে না। চাইলে এখনই ফোনে দেখাতে পারব।
সংশোধনী প্রস্তাবের জবাব দিতে উঠে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আমলে কখন, কোথায় ভোট হত জানতাম না। ভোট হলে ১৫ ফেব্রুয়ারি কি নির্বাচন হয়েছিল? কতজন ভোট পেয়ে জিতেছিল?