নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি আমাদের অগ্নিপরীক্ষা। মেয়র পদটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই চট্টগ্রামবাসীকে প্রমাণ করতে হবে আগামী ২৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিজয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রামের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে। তিনি গতকাল রোববার সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করায় স্বাধীনতার স্বপ্নসাধ পূরণ হয়েছিল। তিনি বাংলার মানুষকে সুখী-সমৃদ্ধশালী একটি বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সবাইকে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি ২৫শে মার্চ মুক্তি পাগল বাঙালিকে স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার যেমন উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন, তেমনি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে যুদ্ধবিধ্বস্থ বাংলাদেশকে পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুদের ষড়যন্ত্রে বাঙালি জাতির অহংকার বঙ্গবন্ধুকে হারাতে হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মাহবুবুল হক মিয়া, থানা আওয়ামী লীগের হারুন অর রশিদ, কাজী আলতাফ হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবুল হাশেম বাবুল, মো. আবছার উদ্দিন চৌধুরী, কাজী রাশেদ আলী জাহাঙ্গীর, মো. ইসকান্দর মিয়া, মো. সেলিম রেজা, মো. নুরুল আলম, শেখ সরওয়ার্দী, হাজী আবু তৈয়ব ছিদ্দিকী, ইফতেখারুল আলম জাহেদ। উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাড. সুনীল কুমার সরকার, অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, অ্যাড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
এর আগে সরকারের ধারাবাহিক এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।