সাধারণ সভা ‘বর্জন’ করায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সাতজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে শোকজ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক কারণ দর্শানো নোটিশে স্বাক্ষর করেন। এতে ‘কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন’।
যেসব প্রকৌশলীদের নোটিশ দেয়া হয়েছে তারা হচ্ছেন- অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, কামরুল ইসলাম, মনিরুল হুদা, আবু ছালেহ, সুদীপ বসাক ও ঝুলন কুমার দাশ।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচিত পর্ষদের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা মঞ্চে মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিবের বসার জন্য আসন দেয়া হয়। প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ সভাস্থলে প্রবেশ করে মঞ্চে আসন দেখতে না পেয়ে বের হয়ে যান। এ সময় তাকে অনুসরণ করে সেখানে উপস্থিত অন্য প্রকৌশলীরাও বের হয়ে যান।
এ বিষয়ে কারণ দর্শানো নোটিশে বলা হয়, ‘প্রথম সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকার জন্য পত্র দ্বারা অনুরোধ জানানো হলেও সভায় অনুপস্থিত থেকেছেন। অনুপস্থিতির কারণে মেয়র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং সভার আলোচনায় বিঘ্ন ঘটেছে’।
এ বিষয়ে জানার জন্য গতকাল প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের মুঠোফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে সাধারণ সভার দিন দৈনিক আজাদীকে প্রকৌশলীদের সভা বর্জনের বিষয়ে বলেন, ‘চলে যাওয়ার বিষয়টি আমি জানতাম না। পরে শুনেছি। কেন চলে গেছেন ঠিক জানি না, এ বিষয়ে আমার সাথে কথা হয়নি এবং শেয়ারও করেনি’।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আজাদীকে বলেন, মোহাম্মদ মনজুর আলম এবং আ জ ম নাছির উদ্দীন মেয়র থাকাকালে সাধারণ সভায় মঞ্চে মেয়র, প্রধান নির্বাহী ও সচিবের পাশাপাশি প্রধান প্রকৌশলী, মেয়রের পিএস (সিনিয়র সহকারী সচিব) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা বসতেন। নতুন মেয়র হয়তো বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। কোনো প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাকে ‘মিস গাইড’ করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন।
প্রকৌশলীরা দাবি করেছেন, চসিকের সচিবের চেয়ে পদ মর্যাদায় প্রধান প্রকৌশলী এগিয়ে। অথচ সচিবকে মঞ্চে জায়গা দেয়া হয়। কিন্তু প্রধান প্রকৌশলীকে রাখা হয়নি। এটা এক ধরনের বৈষম্য। চসিকের স্বার্থে এটা নিরসন হওয়া উচিত।