চসিকের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দাবি উত্থাপন

| সোমবার , ৯ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বলেছেন, চট্টগ্রাম শুধু বাংলাদেশর অর্থনৈতিক হৃদপিণ্ড নয়, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধির সৃষ্টিশীল বলয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ স্বপ্ন ও প্রত্যাশার প্রাপ্তিযোগের বিষয়টি নিজের মেধা, মনন, চিন্তা-চেতনা ও পরিকল্পনা ধারণ করে কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একমাত্র টানেল নির্মাণ, একাধিক অর্থনৈতিক জোনসহ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন। কারণ এ চট্টগ্রাম থেকে রিজিওনাল কানেক্টিভিটি কর্মপরিকল্পনা ঘুনধুম হয়ে মিয়ানমার ছুঁয়ে চীনের কুনমিং সিটি পর্যন্ত আন্তঃদেশীয় সড়ক যোগাযোগ, চট্টগ্রাম বন্দর ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ভারতের পূর্বাঞ্চলের ৭টি রাজ্যসহ নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট লিংক, অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১২টি দেশের বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন-ভিশন ২০৪০ পূরণের বাস্তবায়নে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। তাই চট্টগ্রাম এখন আঞ্চলিকতার গণ্ডী পেরিয়ে আন্তর্জাতিকতার অভিধায় অভিষিক্ত।
গতকাল রোববার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের কার্যালয়ে সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন সাক্ষাৎকালে মুখ্যসচিব একথা বলেন। এ সময় সুজন চট্টগ্রামের সামগ্রিক উন্নয়ন ও চসিকের সক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে বেপজা, বন্দর ও কাস্টমস্‌ থেকে বার্ষিক আয়ের একটি নির্ধারিত অংশ পরিশোধ এবং চসিকের শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সেবাখাতগুলোর কর্মক্ষমতার পরিধি প্রসারে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া চাহিদাপত্রে উত্থাপিত দাবিগুলো তুলে ধরেন।
ড. কায়কাউস আহমেদ বিষয়টির সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলেন, এ মাটির সন্তান হিসেবে আমি চট্টগ্রামের মানুষের চাওয়া-পাওয়ার কথা বুঝি। এই চাওয়া-পাওয়া পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের করণীয় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তিনি চসিক প্রশাসককে চাহিদাপত্র অনুযায়ী দাবিগুলো পূরণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রাখতে সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দেন। সুজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিষয়ক সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সুজন বলেন, চট্টগ্রাম নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে। তবে মাদক, নারী নির্যাতন ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শতভাগ জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে। অপরাধী শনাক্তকরণে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও পুরো নগরকে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে। সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সুজন বলেন, চট্টগ্রামের সন্তান হিসেবে আপনার ভালো ধারণা আছে। চট্টগ্রামে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় গঠিত তদারকি কমিটির প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে আপনার ইতিবাচক ভূমিকায় চট্টগ্রামবাসী উপকৃত হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় চসিক প্রস্তুত। স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে জনসচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সিনিয়র সচিব এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএখন যা হবে
পরবর্তী নিবন্ধপর্যায়ক্রমে দেশের সবাই ভ্যাকসিন পাবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী