অবশেষে বদলি করা হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামকে। তাকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে বদলি করে গতকাল সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২ নভেম্বর তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে’ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের টেন্ডার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফাইলগুলো স্বাক্ষর না করে দীর্ঘদিন নিজ দপ্তরে আটকে রাখাসহ সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন অভিযোগ এনে বদলি করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে পৃথক দুটি পত্র দিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
এরও আগে গত জুলাই মাসে এ কর্মকর্তাকে বদলির জন্য মন্ত্রণালয়ে ডিও দেন মেয়র। ওই সময় বদলি প্রক্রিয়া শুরু হলেও অজ্ঞাত কারণে পরে তা আটকে যায়। সর্বশেষ গতকাল বদলি করা হয় তৌহিদুল ইসলামকে। বদলির প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করেন চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন।
গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু’র স্বাক্ষর করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামকে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হয়ে বদলি হওয়া কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে। অন্যথায় তিনি ওই দিন থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি চসিকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। গত ৬ সেপ্টেম্বর একটি প্রশিক্ষণে যোগ দেন তিনি। প্রশিক্ষণ শেষে গত ২৩ অক্টোবর যোগ দিতে আসলে তার যোগদানপত্র গ্রহণ করেননি মেয়র। পরবর্তীতে ২৭ অক্টোবর হোল্ডিংয়ের বিপরীতে চসিকের মূল্যায়নকৃত পৌরকর (গৃহকর ও অন্যান্য রেইট) থেকে ঘষামাজা করে ২০ কোটি টাকা করে ৪০ কোটি টাকা কমিয়ে দেয়ার ঘটনায় তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেন মেয়র। এরপর ৩০ অক্টোবর অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে টাইগারপাস নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে ‘চসিকের সকল সাধারণ কর্মচারীবৃন্দ’ ব্যানারে। এর আগে পৌরকর মূল্যায়নে অনিয়মের ঘটনায় এ কর্মকর্তাকে শোকজ করেন মেয়র। ৮ জুলাই ‘সচেতন চট্টগ্রামবাসী’ ব্যানারে তৌহিদুল ইসলামকে অপসারণের দাবিতেও একই স্থানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়।
এদিকে যোগদানপত্র গ্রহণ না করার বিষয়টি গত ৩০ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানান তৌহিদুল ইসলাম। পরবর্তীতে মেয়রের দেয়া পত্র ও প্রধান নির্বাহীর পত্র দুটোর বিষয়ে তদন্ত করার জন্য দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।












