চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৯ জুলাই, ২০২৫ at ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল সকালে টাইগারপাস নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে ‘সচেতন চট্টগ্রামবাসী’ ব্যানারে এ বিক্ষোভ হয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ‘অনিয়ম ও দুর্নীতি’র সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। এসময় মানববন্ধন থেকে প্রধান নির্বাহীকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। পরে অবশ্য আন্দোলনকারীরা জানান, মেয়রের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়েছে। তিনি দুইদিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়ায় তারা কর্মসূচি স্থগিত করেন।

এ বিষয়ে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, সিটি কর্পোরেশনের যোগ দেয়ার পর থেকে কখনোই আমি বেআইনি ও অনৈতিক কিছুর সাথে জড়িত ছিলাম না। কাউকে কোনো অনৈতিক সুবিধা দিইনি। তাই কর্পোরেশনের ভেতরেবাইরের একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। স্বার্থান্বেষী মহলটি আমাকে অপদস্থ করার জন্য দুদক ও মন্ত্রণালয়ে মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক, সৎভাবে কাজ করার পরও স্বার্থান্বেষী মহলটি মিথ্যাচার করছে। আমি কি দুর্নীতি করেছি, সুনির্দিষ্টভাবে বলুক। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নিব।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানববন্ধনকারীদের হাতে ‘গো তৌহিদ গো’, ‘সিইও শেখ তৌহিদুল ইসলামের অপসারণ চাই’সহ নানা প্ল্যাকাড ছিল। তারা প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

বিক্ষোভের একপর্যায়ে চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বিক্ষোভস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন, আপনাদের কোনো দাবি থাকলে লিখিতভাবে দিন, আমরা মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করবো। তবে দয়া করে পরিবেশ শান্ত রাখুন এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করবেন না। এসময় বিক্ষোভকারীদের এক প্রতিনিধি বলেন, আমরা সুশৃঙ্খলভাবে মানববন্ধন করে চলে যাব। প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন করে বলেন, ‘আপনারা শুধু একজনের নামে কেন অভিযোগ দিচ্ছেন?: বাকিদের নামে দিচ্ছেন না কেন? তখন আন্দোলনকারীরা বলেন, বাকিদেরও চিহ্নিত করা হবে।

এদিকে বিক্ষোভ চলাকালে শাকিল নামে এক বিক্ষোভকারী সাংবাদিকদের বলেন, সিইও দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিস্ট এর মদদপুষ্ট। তিনি আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেন এবং আওয়ামী লীগের ঠিকাদারদের নানা সুযোগসুবিধা দিচ্ছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারেকে বিতাড়িত করতে যারা আন্দোলন করেছে তাদের কোনো ফাইল গেলে নানা বাহানায় সেটা আটকে দেয়।

আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের কিছু দোসর এখনো রয়ে গেছে। শেখ তৌহিদুল ইসলামও তাদের একজন। তিনিসহ অন্যান্য যেসব দোসর আছেন তাদের অপসারণ চাই। আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা আভ্যন্তরীণভাবে প্রধান নির্বাহীর অনিয়মের বিষয়ে জানিয়েছি। কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় রাজপথে নেমেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার সুপারিশকে স্বাগত জানালেন ৩১৫ আইনবিদ
পরবর্তী নিবন্ধআরবের খেজুর এখন খাগড়াছড়ির পাহাড়ে