টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারাদার নিয়োগ সম্ভব না হওয়ায় পূর্বের ইজারাদারই হাসিল আদায় করছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পশুর বাজারে। নজিরবিহীন এই কার্যক্রমের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন এবং সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অবশ্য সিটি কর্পোরেশন বলছে, দুই দফা টেন্ডার করেও ঠিকাদার নিয়োগ সম্ভব না হওয়ায় খাস কালেকশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাগরিকা এবং বিবির হাট গরু ছাগলের বাজারের হাসিল আদায়ের জন্য প্রকাশ্য টেন্ডারে ইজারাদার নিয়োগের কথা। ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত বাংলা সন অনুযায়ী এক বছরের জন্য ইজারাদার নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু চলতি বছর কোন ইজারাদার নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি।
বিধিমালা অনুষায়ী পছন্দের দর না পেলে পরপর চার দফা টেন্ডার আহ্বান করার কথা। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন এবার দুই দফা টেন্ডার আহ্বান করে ইজারাদার নিয়োগের চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে সফল না হওয়ায় পূর্বের ইজারাদারই নিয়ম বহির্ভুতভাবে হাসিল কালেকশন করছে।
২০২২ সালে ফজলে করিম চৌধুরী আরমান নামের এক ব্যক্তি টেন্ডার পেয়ে ইজারাদার হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু তিনি টেন্ডারের পুরো টাকা পরিশোধ না করেই হাট ছেড়ে দেন। পরের বছর কৌশলে তার সহোদর আসিকুর রাব্বী চৌধুরী নোমান হাটের ইজারা নেন। গত ৩০ চৈত্র ওই ইজারাদারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তিনি এখনো হাসিল কালেকশন করছেন। টেন্ডার না পেয়েও হাসিল আদায় করার এই ঘটনা সংশ্লিষ্টদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ না করেই হাসিল আদায় করা হচ্ছে। এতে সিটি কর্পোরেশনই নয়, সরকারের ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১০ শতাংশ ট্যাঙের বিশাল অর্থও হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দুই দফা টেন্ডার করেও ইজারাদার নিয়োগ সম্ভব না হওয়ায় খাস কালেকশন করানো হচ্ছে। তিনি সিটি কর্পোরেশন কিংবা সরকারের কোনো রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে না বলেও দাবি করেন।