চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে হেলথ কেয়ার অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং কোর্স অন্তর্ভুক্ত করা গেলে দেশে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী গড়ে তোলা সম্ভব হবে এবং আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারেও তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে বলে মনে করেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, আমি যেখানে যাই, শিক্ষা খাত নিয়ে কিছু না কিছু করার চেষ্টা করি। সম্প্রতি আমি লন্ডন সফর করেছি। এর আগে কানাডা গিয়েছিলাম। কানাডা সফরে সেখানে নার্সিং শিক্ষা ও নার্সিং ইনস্টিটিউশনের দ্রুত বিস্তারের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে এ খাতটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। লন্ডনেও হেলথকেয়ার অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নিয়েছি। এসব বিষয় আমাদের দেশের তরুণদের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। গতকাল শনিবার মেরিন ফিশারিজ একাডেমির হল রুমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কলেজ শিক্ষক সমিতি আয়োজিত শিক্ষক প্রীতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা। সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল। ডা. শাহাদাত বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর স্কুল হেলথ কার্ড চালু করেছি, বহু শিক্ষককে স্থায়ী নিয়োগ দিয়েছি এবং বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন একাডেমিক ভবন পেয়েছে। বিভিন্ন সময়ে যে দাবি–দাওয়া আমাকে জানানো হয়েছে তার অনেকগুলো পূরণ করতে পেরেছি। তবে কিছু দাবি আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, পূর্বে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর কোনো উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ ছিল না, যার ফলে সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক সক্ষমতা সংকুচিত ছিল। এখন কিভাবে প্রতিষ্ঠানকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা যায়, সে বিষয়ে কাজ করছি। বন্দরের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং রাজস্ব আদায় বাড়াতে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাজিব সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সমিতির প্রতিবেদন পাঠ ও শিক্ষকদের পক্ষে দাবিনামা উপস্থাপন করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ কর। বক্তব্য রাখেন জহিরুল কাইয়ুম চৌধুরী, মো. আমিনুল হক খান, অধ্যক্ষ শেখ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, আবুল খায়ের, শরাবান তহুরা, ইঞ্জিনিয়ার প্রবাল রক্ষিত ও মেয়রের উপদেষ্টা শাহরিয়ার খালেদ। অনুষ্ঠানে চসিক পরিচালিত কলেজসমূহ থেকে সম্প্রতি অবসর গ্রহণকারী ২২ জন শিক্ষককে বিদায় সম্মাননা দেয়া হয়।












