নগরবাসীকে গৃহকর নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, কোন ধরনের কর বাড়ানো হবে না। শুধুমাত্র করের আওতা বাড়ানো হবে। আগে যে ভবন দুইতলা ছিল তা যদি তিন তলায় বা তার অধিক তলা করা হয় হয় তাহলে সেই বর্ধিত অংশটুকুরই কর নেয়া হবে। তিনি গতকাল মঙ্গলবার আন্দরকিল্লাহস্থ নগর ভবনে চসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের অটোমেশন কার্যক্রম ‘ই-রেভিনিউ সিস্টেম সফটওয়্যারে’ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘আরবান পাবলিক এন্ড এনভায়রনমেন্ট হেলথ সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ অটোমেশন কার্যক্রমে যুক্ত হল চসিক।
কর ব্যবস্থাপনা অটোমেশনের কার্যক্রমের আওতায় আসায় এখন থেকে যে কেউ এখন ঘরে বসে পৌরকর পরিশোধ করতে পারবেন। জানতে পারবেন কর সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্যও। অনলাইন ভিত্তিক হওয়ায় হোল্ডিংট্যাক্স নিয়ে কর আদায়কারীদের বিরুদ্ধে যে-সব অনিয়মের অভিযোগ আছে সেগুলোও দূরীভূত হবে। সিটি মেয়র বলেন, সেবা প্রত্যাশী নগরবাসীর দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমাতে ম্যানুয়েল পদ্ধতি থেকে অনলাইনের আওতায় নিয়ে আসা হল গৃহকর ও ট্রেড লাইসেন্স’ সেবা। এতে কর্পোরেশনের কর ব্যবস্থাপনার কাজেও স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। চসিকের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর অধ্যাপক মো. ইসমাইল, কাউন্সিলর গাজী মো. শফিউল আজিম, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, কর্পোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ, আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ সামস্ তাবরীজ।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালিত করায় চসিকের হোল্ডিং ট্যাঙের আলোচিত এসেসমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করেছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর চসিককে স্থানীয় সরকার বিভাগ হোল্ডিং ট্যাঙের পূণর্মূল্যায়নে প্রথাগত ম্যানুয়েল পদ্ধতি অনুসরণ করার এবং একই সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে অনলাইন ভিত্তিক অটোমেশন পদ্ধতি চালু করার নির্দেশনা প্রদান করে। কিন্তু চসিক ঐ প্রকল্পের আওতায় কোন কার্যক্রম গ্রহণ করেনি। সর্বশেষ গতকাল এর সঙ্গে যুক্ত হয় চসিক।