চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) অনুমতি ছাড়া নগরে কেউ রাস্তা খুঁড়লে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় উন্নয়ন হচ্ছে। এখানে যেন কোনো অপচয় না হয়। ঠিকাদাররা যেন মানসম্মত ইট, বালি ও সিমেন্ট ব্যবহার করেন তা নিশ্চিতে এলাকাবাসীরও ভূমিকা প্রয়োজন। এই রাস্তা আপনাদের, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও টেকসই করে রাখতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার নগরের ৩৭ নম্বর উত্তর মধ্য হালিশহর ওয়ার্ডে চৌচালা ও টিজি রোডের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চৌচালা রোডে ড্রেনসহ এ রাস্তা নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। প্রকল্প শুরুর আগে ওয়ার্ডের ড্রেনেজ ব্যবস্থার ডিজিটাল সার্ভে করে উপযুক্ত আউটলেট নির্ধারণ করা হয়, যা জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন মেয়র।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে সঠিক পরিকল্পনা করে আমরা কাজ বাস্তবায়ন করছি। এর ফলে আল্লাহর রহমতে এ বছর এই ওয়ার্ডে কোনো জলাবদ্ধতা হয়নি। ইতোমধ্যে ১৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার কাজ শেষ হয়েছে এবং ২৪ কোটি ২২ লাখ টাকার কাজ চলমান রয়েছে। অর্থাৎ মোট প্রায় ৪৩ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ এ ওয়ার্ডে সম্পন্ন ও চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, উন্নয়নকাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতির কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। ঠিকাদাররা যেন মানসম্মত ইট, বালি ও সিমেন্ট ব্যবহার করেন, তা নিশ্চিতে এলাকাবাসীরও ভূমিকা প্রয়োজন। এই রাস্তা আপনাদের, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও টেকসই করে রাখতে হবে।
নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিক, নিরাপদ ও টেকসই করতে নানা উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করছেন জানিয়ে মেয়র বলেন, যানজট নিরসন, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ভিত্তিতে নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ, জলাবদ্ধতা নিরসন এবং স্থায়ী অবকাঠামো উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মোহাইমিনুল ইসলাম ও সাবেক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ হানিফ সওদাগর।