চলে গেলেন বক্সিং কিংবদন্তি জর্জ ফোরম্যান

স্পোর্টস ডেস্ক | রবিবার , ২৩ মার্চ, ২০২৫ at ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ

দুইবারের ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন জর্জ ফোরম্যান আর নেই। বক্সিংয়ের এই কিংবদন্তি ৭৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে শুক্রবার ফোরম্যানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার পরিবার। পরিবার ইনস্টাগ্রামে এক বার্তায় জানায়, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের প্রিয় জর্জ ফোরম্যান আজ মারা গিয়েছেন। সে সময় আমরা তার পাশে ছিলাম। তিনি ছিলেন একজন ভালো স্বামী এবং শ্রেষ্ঠ বাবা।’ ১৯৭৪ সালে আরেক কিংবদন্তি মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে খেলা ‘রাম্বল ইন দ্য জাঙ্গল’ ম্যাচটির জন্য বেশি পরিচিত ফোরম্যান। কঙ্গোতে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচ বক্সিং ইতিহাসের সেরা লড়াইগুলোর একটি। ম্যাচটিতে অবশ্য জিততে পারেননি ফোরম্যান। আলীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। ১৯৪৯ সালের ১০ জানুয়ারি টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করেন ফোরম্যান। বেশিদূর পড়ালেখা করেননি তিনি। স্কুল ছাড়ার পর রাস্তায় ছিনতাই করার দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন। পরে ক্যারিয়ার শুরু করেন বক্সিংয়ে। ১৯৬৮ সালে ১৯ বছর বয়সে মেক্সিকো অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জেতেন ফোরম্যান। ‘বিগ জর্জ’ নামে পরিচিত এই বক্সিং খেলোয়াড় প্রথমবার ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট শিরোপা জেতেন ১৯৭৩ সালে, জো ফ্রেজিয়ারকে হারিয়ে। ১৯৭৭ সালে সবাইকে অবাক করে মাত্র ২৮ বছর বয়সে হুট করে অবসরের ঘোষণা দিয়ে দেন ফোরম্যান। নিজ শহরে টেক্সাসে ধর্মযাজক হিসেবে শুরু করেন নতুন জীবন। ১০ বছর পর অবসর ভেঙে রিংয়ে ফেরেন তিনি। এই ধাপে টানা ২৪ ম্যাচ জেতেন তিনি। পরে ১৯৯১ সালে ইভান্ডার হলিফিল্ডের বিপক্ষে হেভিওয়েট শিরোপা লড়াইয়ে হেরে গেলেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন। আর সেই ম্যাচ দিয়ে আবারও আলোচনায় আসেন এই বক্সিং তারকা। ১৯৯৪ সালে ৪৫ বছর বয়সে নিজের দ্বিতীয় ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন ফোরম্যান। এবার এর আগ পর্যন্ত অপরাজিত মাইকেল মুরারকে হারান তিনি। তখন এটা ছিল সবচেয়ে বেশি বয়সে হেভিওয়েট শিরোপা জয়ের রেকর্ড। তার ক্যারিয়ার রেকর্ড ছিল ৭৬ জয়, ৫ পরাজয়; যার মধ্যে ৬৮টি ছিল নকআউট। মৃত্যুকালে বিশাল সম্পদ রেখে যান জর্জ ফোরম্যান। বিভিন্ন মিডিয়ার দাবি ফোরম্যানের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের। সে সঙ্গে তিনি রেখে গেছেন বিশাল এক পরিবার ও বক্সিংয়ে সোনালী এক অতীত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকলকাতাকে উড়িয়ে দিলো বেঙ্গালুরু
পরবর্তী নিবন্ধনিজেকে প্রমাণের অপেক্ষায় ছিলেন থিয়াগো আলমাদা