চলমান অসুস্থ রাজনীতি, বাড়ছে মা বাবার উদ্বেগ ও আমাদের করণীয়

লাকি বিশ্বাস | রবিবার , ৪ আগস্ট, ২০২৪ at ৬:৫২ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীন দেশে নিরাপদ ভেবেই মা বাবারা তাঁদের সন্তানদের দেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করায়। তাঁদের আশা সন্তানরা বড় হয়ে নিরাপদ পরিস্থিতিতে পড়ালেখা শেষ করে কর্মজীবী বা ব্যবসায়ী কিংবা উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাবে। শান্তিপূর্ণভাবে দেশে অবস্থান করবে। অনেক বাবামার একমাত্র ভরসা তাঁর একমাত্র সন্তান, কারণ আমাদের মত দেশে বৃদ্ধদের জীবন পরিচালনার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই, থাকলেও তা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে, যা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। ছাত্রছাত্রীদের দিন দিন অসুস্থ রাজনীতির শিকার হতে হচ্ছে। যার ফলে সন্তানদের অনেক সময় বাবামাদের আয়ত্বে রাখা কষ্টকর হয়ে পড়ে। তারা জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে। এর মধ্যে বাদ পড়ছে না কিশোর কিশোরী। ছড়িয়ে পড়েছে কিশোর গ্যাং। যাদের পড়াশুনা করার কথা মনোযোগ দিয়ে এ বয়সে, তারাই নাম লেখাচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে। প্রতিটি বাবামাই আজ শঙ্কিত। যারা কর্মজীবী মা বাবা তাঁরা আরো বেশি শঙ্কিত, কারণ তাঁরা তাঁদের কর্মস্থলে থাকে, এদিকে তাঁদের সন্তানরা কীভাবে আছে, স্কুল বা কলেজে কোনও রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছে কিনা বা র‌্যাগিং এর শিকার হচ্ছে কিনা সবসময় চিন্তিত থাকে, অতীতে এমন কিছু দুর্ঘটনা আছে অনেক বাবামাই এই অসুস্থ রাজনীতির শিকার হয়ে তাঁদের সন্তানদের হারিয়েছেন। তাঁদের অবস্থা কী তা নিশ্চয় প্রত্যেক মা বাবাই অনুধাবন করতে পারছেন। দেখা যায় এ অসুস্থ রাজনীতিতে জড়িয়ে যাবার জন্য মাবাবাদের অনেকাংশে দায়ভার রয়েছে। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য মাবাবাকে ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।

উগ্রতা নয় ভালোবাসা, দেশপ্রেম আর পরিবারের প্রতি দায়িত্ব বাড়াতে মাবাবাদের হতে হবে আরো সচেতন, নিতে হবে সময়নিষ্ঠ পদক্ষেপ। এ ব্যাপারে সরকারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমরা আর কোন মাবাবাকে সন্তানহারা দেখতে চাই না, চাই না সারাজীবন বুকফাটা কান্নায় কোনও মা বাবা বেঁচে থাকুক। মোদ্দাকথা দেশের উন্নয়নের জন্য, এতো রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য প্রত্যেক মা বাবা, সরকারের সময়নিষ্ঠ পদক্ষেপ সফলতার মুখ দেখাবে। আসুন আমরা অসুস্থ রাজনীতি থেকে আমাদের সন্তানদের মুক্ত করি, নৈতিকতা, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধসহ পরিবারের উপর দায়িত্ব ও কর্তব্য বাড়াতে সচেষ্ট হই। (আগেও আমরা রাজনীতি দেখেছি, সুস্থ, সুন্দর, দেশপ্রেম জড়িয়ে ছিল তাতে, ইতিহাস সাক্ষী, নইলে এদেশে মাষ্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বুদ্ধিজীবী, বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, বীরবিক্রম, বীরপ্রতীক সহ সর্বোপরি স্বাধীন বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম নিতেন না।)

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅধিকার মানে অন্ন
পরবর্তী নিবন্ধদেশ হতে দেশান্তরে