চলন্ত লরির পেছনে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় সৃষ্ট দুর্ঘটনায় মারা গেছেন প্রাইভেটকার আরোহী ইপিজেড থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব মো. সোহেল (৩৭)। গত শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরের কাঠগড় আম্বিয়া পেট্রোল পাম্পের বিপরীত পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল বন্দরটিলা আলী শাহ পাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর সওদাগরের ছেলে। তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক।
স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনার পরপর স্থানীয়রা সোহেলকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, সোহেল সম্ভবত পতেঙ্গা সী–বিচ এলাকা থেকে ফিরছিলেন। এ সময় তিনি নিজে প্রাইভেটকার ড্রাইভ করছিলেন। কাঠগড় এলাকায় সামনে থাকা একটি চলন্ত লরির পেছনে আঘাত করে প্রাইভেটকারটি। এতে গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে গাড়ি থেকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল বাদে জোহর বন্দর টিলা আলিশাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে সোহেলের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ–কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরুসহ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
জানা গেছে, দুর্ঘটনার এক ঘণ্টা আগেও সোহেল একটি অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। তার আকস্মিক মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সোহেলের বাসায় আমীর খসরু : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে এসে সরাসরি বিমানবন্দর থেকে সোহেলের বাসায় যান। তিনি পরিবারের সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। এ সময় খসরু বলেন, সোহেল ছিলেন দক্ষ সংগঠক, ত্যাগী নেতা। আন্দোলন–সংগ্রামে তার অবদান দল স্মরণীয় করে রাখবে।












