চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের সঙ্গে সংযোগকারী ক্লিপ ভেঙে ১৪টি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। লোকোমাস্টার বিষয়টি ধরতে না পেরে বগি থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় শুধু ইঞ্জিনটি নিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে চলে যান। পরে বুঝতে পেরে ইঞ্জিন থামিয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে খবর দেন। এসময় ট্রেনটি প্রায় আড়াই ঘণ্টা আটকে পড়ায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে সীতাকুণ্ড পৌরসভার উত্তরে ইয়াকুব নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রেলওয়ে পুলিশ জানায়, সংযোগকারী ক্লিপ ভেঙে মহানগর এক্সপ্রেক্স ট্রেনের ইঞ্জিনটি বগি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। লোকোমাস্টার বিষয়টি বুঝতে না পারায় বগি থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ইঞ্জিনটি নিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে চলে যায়। পরে বুঝতে পেরে ইঞ্জিন থামিয়ে নিয়ন্ত্রণকক্ষে খবর দেন। এর প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম থেকে একটি ইঞ্জিন গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ইঞ্জিন এবং বগিগুলো প্রথমে সীতাকুণ্ড স্টেশনে টেনে নিয়ে আসে। পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ইঞ্জিনটি রেখে অপর ইঞ্জিনের মাধ্যমে ট্রেনটি বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এদিকে ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও বিকল্প পথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের যাত্রীরা বলেন, হঠাৎ বিকট শব্দে বগির জয়েন্ট খুলে যায়। এতে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। অনেকে বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।
সীতাকুণ্ড রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই জহিরুল ইসলাম বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকাগামী মহানগর এঙপ্রেসের ইঞ্জিন বগির ক্লিপ ভেঙে যায। এতে ইঞ্জিনটি অনেক দূরে চলে যায়। পরে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে একটি ইঞ্জিন আসলে বগিগুলো নিয়ে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে ক্লিপ ছিঁড়ে যাওয়া ইঞ্জিনটি উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড রেলওয়ে স্টেশনে রাখা হয়েছে।