নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার আতুরার ডিপো চামড়ার গুদামের সামনে একটি চলন্ত সিএনজি টেক্সিতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন টেক্সির ২ যাত্রী। গতকাল রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন রাউজান পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের লায়লা বেগম (৫০) এবং একই পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের ঝরনা বেগম (৩০)। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, টেক্সিতে তিন নারী, দুই পুরুষ ও দুই–আড়াই বছর বয়সী এক শিশু যাত্রী ছিল। রাউজান থেকে কুতুবদিয়া মালেক শাহ হুজুরের মাজারে যাচ্ছিলেন তারা। আতুরার ডিপো পেট্রোল পাম্প পার হওয়ার সময় সিএনজি লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়। বোমাটি পেছনের আসনে গিয়ে পড়ে।
সিএনজি চালক মো. জামি বলেন, হামলাকারীরা তিনজন ছিল। তারা মুখ বাঁধা অবস্থায় মোটরসাইকেলে করে এসেছিল। তিনি বলেন, ফজরের আজানের পরপর গাড়ি আতুরার ডিপো পেট্রোল পাম্পের সামনে এলে পেট্রোল বোমার মতো দুটি বোতল ছুড়ে মারে। একটি গাড়ির পেছনে পড়লে আগুন ধরে যায়। দুজন মহিলা যাত্রীর গায়ে আগুন লাগে। আমি দ্রুত গাড়ির আগুন বোতলের পানি দিয়ে নিভিয়ে ফেলি।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি আমাদের কাছে রাজনৈতিক বলে মনে হচ্ছে না। ওই টেক্সিতে রাজনৈতিক কেউ ছিল না, নারী ও শিশু যাত্রী ছিল। যে মোটরসাইকেল থেকে বোতল ছুড়ে মারা হয়েছিল সেটি হাটহাজারী থেকে টেক্সিটিকে অনুসরণ করে নগরীর দিকে এসেছে। আমিন জুট মিলের কাছে গিয়ে পেট্রোল বোমা জাতীয় বোতল ছুড়ে মারে। পারিবারিক কোনো বিরোধ বা পূর্ব শত্রুতার কারণ নাকি ছিনতাইয়ের উদ্দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে সেটি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।