হিমালয়ের পাদদেশ থেকে সৃষ্ট পশ্চিমা লঘুচাপ পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়েছে। এর প্রভাবে বেড়েছে চট্টগ্রামের তাপমাত্রা। অন্যদিকে এ সপ্তাহের শেষের দিকে চট্টগ্রামে মৃদু কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক আবুল হাসনাত বলেন, হিমালয়ের পাদদেশে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছিল। এই লঘুচাপ বাংলাদেশের পশ্চিম দিকের জেলা দিনাজপুর হয়ে পূর্ব দিকের সিলেটের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামে। তবে এই লঘুচাপ যেহেতু চলে গেছে, সেক্ষেত্রে এখন তাপমাত্রা কিছুটা কমবে।
এদিকে গতকাল ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর ও বরিশালসহ ৬ জেলায় কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। হয়েছে বৃষ্টিও। ঢাকার সাভারে আঘাত হানা কালবৈশাখীকে বছরের প্রথম কালবৈশাখী ঝড় বলছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল রাজধানীতে বেলা সাড়ে ৩টা থেকে থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস গতকাল সন্ধ্যা ৬টার স্থানীয় পূর্বাভাসে বলেছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সাথে ভোরের দিকে নদী অববাহিকা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় হালকা কুয়াশা বিরাজ করতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিক হতে ঘণ্টায় ১০-১৫ কি.মি. বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। গতকাল চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি বেশি। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৭ ডিগ্রি বেশি।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ আজাদীকে বলেন, স্বাভাবিকভাবে মার্চ মাস কালবৈশাখী হওয়ার সময়। কিন্তু এবার কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। চট্টগ্রামে এ সপ্তাহে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা নেই। তবে সপ্তাহের শেষে মৃদু কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে।