চলতি নভেম্বর মাস থেকে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য তালিকায় নতুন পাঁচটি পণ্য যুক্ত হচ্ছে। আগের প্যাকেজের সাথে (চাল, ডাল, তেল ও চিনি) নতুন করে যুক্ত হবে–চাপাতা, লবণ, ডিটারজেন্ট ও দুই ধরনের সাবান। চট্টগ্রামে টিসিবির নভেম্বর মাসের পণ্য বিতরণ আগামী ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন টিসিবি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
টিসিবি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন পাঁচটি পণ্য (চা পাতা, লবণ, ডিটারজেন্ট ও দুই ধরনের সাবান) পাবেন শুধুমাত্র উপজেলা পর্যায়ে ৫০ হাজার স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পাইলট প্রোগ্রামের উপকারভোগীরা। তবে নতুন পাঁচটি পণ্যের দাম এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। নগরীর কার্ডধারী উপকারভোগীরা নতুন এই পাঁচ পণ্য পাবেন না।
এই ব্যাপারে টিসিবি আঞ্চলিক কার্যালয় চট্টগ্রামের অফিস প্রধান (যুগ্ম পরিচালক) মো. শফিকুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের চলতি নভেম্বরে পণ্য বিতরণ আগামী ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। এবারও নগরীর কার্ডধারীদের প্যাকেজের মধ্যে চাল, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও চিনি দেয়া হবে। তবে উপজেলা পর্যায়ে ৫০ হাজার স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবার পাইলট প্রোগ্রামের আওতায় আগের প্যাকেজের সাথে (চাল, ডাল, তেল ও চিনি) নতুন করে চা পাতা, লবণ, লাক্স সাবান, কাপড়ের সাবান ও ডিটারজেন্ট পাউডার পাবেন।
স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীরা ডিলারের কাছে তাদের কার্ড প্রদর্শন করে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি চাল, প্রতি লিটার ১০০ টাকা দামে ২ লিটার সয়াবিন তেল, প্রতি কেজি ৬০ টাকা দামে ২ কেজি মসুর ডাল ও ৭০ টাকা দামে ১ কেজি চিনি নিতে পারবেন। এই চারটি প্যাকেজের মূল্য ৫৪০ টাকা। আর উপজেলা পর্যায়ে যারা চা পাতা, লবন, লাক্স সাবান, কাপড়ের সাবান ও ডিটারজেন্ট পাউডার পাবেন–তাদের ক্ষেত্রে আগের প্যাকেজ মূল্যের সাথে এই ৫টি পণ্যের দাম যুক্ত হবে।
টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিস প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীর জন্য টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের বরাদ্দ রয়েছে ৩ লাখ ৯৬৩টি। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত ‘স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড’ পেয়েছেন মাত্র ৬০ হাজার পরিবার। ১৫ উপজেলা পর্যায়ে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের বরাদ্দ রয়েছে ২ লাখ ৩৫ হাজার। এখন পর্যন্ত উপজেলা পর্যায়ে ‘স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড’ পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার। উপজেলা পর্যায়ে কার্ড গুলো তাড়াতাড়ি হয়ে যাচ্ছে। নগরীতে দেরী হচ্ছে। নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে যাদেরকে কার্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে–তারা দেরী করছেন। তারা সময় মত তথ্য আপলোড করতে পারছেন না। কার্ড তৈরী না হওয়ায় নগরীতে ২ লাখ ৪০ হাজার ভোক্তা সরকারের ন্যায্যমূল্যের পণ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।












