বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এমপি বলেছেন, এ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)’র সকল বন্ধ মিলগুলো চালু করা হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধ পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে ইজারা দেয়ার জন্য শর্ত সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইজারা নিতে আগ্রহীদের চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে এই শর্ত সংশোধনের প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও ১৫ দিনের মতো সময় লাগবে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের আমিন জুটমিল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী। এর আগে মিলে পৌঁছে মন্ত্রী জুট মিলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং বন্ধ মিলটি ঘুরে দেখেন। পরিদর্শনকালে, চট্টগ্রামস্থ বিজেএমসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসসের।
এ সময় পাট মন্ত্রী বলেন, যখন মিলগুলো বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়, তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি মিলগুলো আবার চালু হবে। তারপর আমরা অনেক জল্পনা-কল্পনার পরে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে করার একটা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে দেখি, সরকারের সঙ্গে পার্টনার খুঁজে পাওয়া অনেক মুশকিলের ব্যাপার। ৫-৬ বছর লেগে যায়। তিনি বলেন, এই পর্যায়ে আমরা চিন্তা করলাম যে যত তাড়াতাড়ি পারি, মিলগুলো যেন চালু করা যায়। সোজা রাস্তা হলো ইজারা ভিত্তিতে। এই পর্যায়ে এসে যারা লিজ নিতে আগ্রহীরা শর্ত সংশোধনের কথা বললেন। কারণ মিল চালু করতে হলে তাদের নতুন মেশিন লাগবে। একটা বড় ইনভেস্টমেন্টের ব্যাপার আছে। এখন লিজ নেয়ার পর যদি তাদের তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিতে হয়, তাহলে তো তারা নতুন মেশিন আনবে না। সেজন্য আমরা শর্ত সংশোধনের চেষ্টা করছি। মন্ত্রী বলেন, বিজেএমসির ভাড়া ভিত্তিক মিলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন ও উৎপাদিত পাটপণ্য রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব মিলে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৩টি জুট মিল (বাংলাদেশ জুট মিলস লি: নরসিংদী, কেএফডি জুট মিলস লি: চট্টগ্রাম, জাতীয় জুট মিলস সিরাজগঞ্জ) ভাড়া ভিত্তিক ইজারা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। আরো তিনটি জুট মিল এর লিজ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।